১২ বছরে এপিএস তোফায়েলের সম্পত্তি বেড়েছে ৬০০ গুণ

সময় ট্রিবিউন প্রতিবেদন | ২১ ডিসেম্বর ২০২১, ০৪:০৯

এপিএস তোফায়েল

নেত্রকোনা ৪ আসনের সংসদ সদ্য রেবেকা মমিনের এপিএস তোফায়েল আহমেদের বিগত ১২ বছরে সম্পত্তি বেড়েছে প্রায় ৬০০ গুণ। স্থানীয়রা বলছেন, এত কম সময়ে এমন ভাগ্য বদল কেবলমাত্র আলাদীনের প্রদীপ পেলেই সম্ভব।

আঙুল ফুলে হঠাৎ কলা গাছ হওয়া তোফায়েল আহমেদের উত্থান নিয়ে রয়েছে চাঞ্চল্যকর তথ্য।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নেত্রকোনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য রেবেকা মমিনের সংস্পর্শে তোফায়েল নিজেই হয়ে ওঠেন এলাকার এমপি। নেত্রকোনা-৪ আসনের মদন, মোহনগঞ্জ, খালিয়াজুড়ি; এই তিন উপজেলার রাজনীতিসহ নানা ধরনের ব্যবসা-বাণিজ্য অবৈধবাবে নিয়ন্ত্রণ করতে তিনি। এছাড়া কমিশন বাণিজ্য, চাকরি বাণিজ্য, বিভিন্ন ধরনের তদবির ও টেন্ডারবাজি তার নিত্যদিনের কাজ। এসব করে তিনি অঢেল সম্পত্তির মালিক হয়েছেন।

সরেজমিনে গিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এক যুগ আগে এই তোফায়েল একেবারেই সাধারণ জীবনযাপন করতেন। অথচ আজ তিনি শত কোটি টাকার মালিক। রাজধানী শহর ঢাকার উত্তরা ও গুলশানের মত যায়গায় রয়েছে তার একাধিক ফ্ল্যাট। নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে বানিয়েছেন রাজপ্রাসাদসম এক বাড়ি। নেত্রকোনা ও ঢাকায় স্ত্রীর নামে কিনেছেন একাধিক জমি।

তোফায়েলের নিজ এলাকার মানুষদের অভিযোগ, নেত্রকোনার তিন উপজেলার রাজনীতি কুক্ষিগত করে তোফায়েল বিভিন্ন সময় মনোনয়ন বাণিজ্য করে হাতিয়ে নিয়েছেন কোটি কোটি টাকা। শুধু তাই নয়, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য হয়ে তিনি স্থানীয় বিএনপি-জামায়াত নেতাদের সঙ্গে আঁতাত করে নিয়েছেন অর্থনৈতিক সুবিধা।

এসব কারণে এলাকায় তৃণমূল আওয়ামী লীগ তোয়ালের বিরুদ্ধে প্রচন্ড ক্ষুব্ধ। ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটতে পারে যেকোনো সময়।

নেত্রকোনো জেলা আওয়ামী লীগের এক নেতা নাম না প্রকাশ করার শর্তে বলেন, মদন, মোহনগঞ্জ, খালিয়াজুড়ির সকল খাতের যাবতীয় ঠিকাদারি কাজে তোফায়েলকে ১০ শতাংশ কমিশন দিতে হয় অথবা তাকে অংশীদার হিসেবে রাখতে হয়। কখনো বা তিনি শুধু স্লিপিং পার্টনার হিসেবেও লভ্যাংশ গ্রহণ করেন।

তোফায়েল ইতোমধ্যে বিধি বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের জন্য দুদকের নজরদারির মধ্যে রয়েছেন। কিন্তু উপর মহলে টাকা খরচ করে এবং তার এক প্রভাশালী আত্মীয় যিনি সরকারের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা তার মাধ্যমে দুদকের ফাইল ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চলছে।

এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে তোফায়েল আহমেদকে ফোন করলে তিনি রিসিভ করেননি।

এছাড়াও এমপি রেবেকে মোমিনকে ফোন দেওয়া হলে তিনিও রিসিভ করেননি।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: