হাতকড়ার বদলে ফুল পেলেন সাজাপ্রাপ্ত আসামী

শেরপুর প্রতিনিধি | ২৬ এপ্রিল ২০২১, ০৭:০৪

ছবিঃ সংগৃহীত

শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে মাদক মামলার ৬ মাসের সাজাপ্রাপ্ত আসামী রোববার আত্মসমর্পণ করার পর তাকে হাতকড়া না পরিয়ে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়ে আদালতে পাঠায় পুলিশ। অবশেষে ওসির কথায় আশ্বস্ত হয়ে ঝিনাইগাতী থানায় রবিবার (২৫ এপ্রিল) থানায় উপস্থিত হয়ে আত্মসমর্পণ করেন আব্দুর রাজ্জাক। স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করায় তাকে হাতকড়া না পরিয়ে তার হাতে দেওয়া হয় লাল গোলাপ ফুল। রাজ্জাক ঝিনাইগাতী উপজেলার বনকালি এলাকার মৃত আঃ জব্বারের ছেলে।

ঝিনাইগাতী থানার পুলিশ জানায়, আব্দুর রাজ্জাক ২০১৪ সালের শেরপুরের ঝিনাইগাতী থানার একটি মাদক মামলার আসামি। এর পর থেকেই পালিয়ে জীবনযাপন করেন তিনি। মাদবদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে দায়ের হওয়া মামলায় ২০২১ সালে আদালত তাকে ৬ মাসের সাজা দেন। আব্দুর রাজ্জাক পলাতক থাকায় আদালত গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেন। কিছুদিন আগে ঝিনাইগাতী থানায় সেই পরোয়ানা পাঠানো হয়। এরপর থানার পুলিশ তাকে গ্রেপ্তারে চেষ্টা চালায়।

একই সঙ্গে পরিবারের মাধ্যমে মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে ওই আসামীর সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেন ঝিনাইগাতী থানার ওসি মোহাম্মদ ফায়েজুর রহমান। এক পর্যায়ে ওই আসামীকে বুঝিয়ে পালিয়ে না থেকে আত্মসমর্পণের পরামর্শ দেন এবং তাকে সহযোগিতার আশ্বাস দেন তিনি। পরে দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর স্বেচ্ছায় থানায় এসে ধরা দেন তিনি। রোববার দুপুরে আত্মসমর্পণ করলে তাকে ফুল দিয়ে বরণ করা হয়। পরে হাতকড়া ছাড়াই আজ বিকেলে তাকে ঝিনাইগাতী জি,আর আমলী আদালতে হাজির করা হলে আদালত তাকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।।

আসামী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, মামলার পর থেকে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে জীবনযাপন করছিলাম। আমার অনুপস্থিতিতে আদালত আমাকে ছয় মাসের সাজা দেয়। পরোয়ানা পেয়ে থানার পুলিশ কয়েকবার আমাকে গ্রেপ্তার করতে আমার বাড়িতে অভিযান চালায়। বাড়িতে না থাকায় পুলিশ আমাকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। অনেক দিন পালিয়ে থাকতেও ভাল লাগছিল না আর। তাই ওসি সাহেবের পরামর্শে থানায় উপস্থিত হয়ে আজ স্বেচ্ছায় ধরা দেই।

ঝিনাইগাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ফায়েজুর রহমান জানান, আব্দুর রাজ্জাকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা পাওয়ার পর তাকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান চালানোর পর জানতে পারি তিনি পলাতক। এরপর তার মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে তাকে পালিয়ে না থেকে আত্মসমর্পণের পরামর্শ দিলে আজ থানায় এসে ধরা দেন। বিকালে আদালতে হাজির করা হলে আদালত তাকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। তিনি আরো বলেন, আব্দুর রাজ্জাকের মাকে থানা পুলিশের পক্ষ থেকে খাদ্যসামগ্রীও দেওয়া হয়েছে।


আপনার মূল্যবান মতামত দিন: