পটুয়াখালীতে ছাত্রলীগ নেতা উজ্জলের কর্মকান্ডে আতঙ্কে মানুষজন

সময় ট্রিবিউন | ২২ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০৪:৪৫

ফাইল ছবি

কখনো দলের সিনিয়র নেতাদের সাথে বেয়াদবি, কখনো নিজ দলের নেতাকর্মীকে মারধর, কিংবা সমস‌্যা সমাধানের মাধ‌্যমে এলাকাবাসীর কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা নেয়া বা মুক্তিপন; এসব অপকর্ম যার নিত‌্যসঙ্গী, তিনি পটুয়াখালী জেলার রাঙ্গাবালী উপজেলা শাখা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক আশিকুর রহমান উজ্জল।

তার কর্মকান্ডে যেমন বিব্রত এলাকার নেতাকর্মীরা, তেমনি আতঙ্কে থাকেন এলাকাবাসী। একের পর এক বিতর্কত কর্মকান্ড ঘটিয়েও তিনি আছেন রাজার হালেই।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, পদ-পদবী পাওয়ার পরে একেএকে বহু বির্তকিত কাজের জনক হচ্ছেন উজ্জ্বল। তার হাত থেকে সাবেক ও বর্তমান সরকার দলীয় সিনিয়র ও জুনিয়র নেতৃবৃন্দ ছাড় পাচ্ছেন। ইতিমধ্যে তার হাতে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ৩জন সংখ্যালঘু।

উপজেলার চরমোন্তাজ ইউনিয়নের জেলে, মৎস্য ব্যবসায়ী, নিজ দলীয় রাজনীতিবীদ ও জনপ্রতিনিধি সহ অনেক মানুষ জনের রাতের ঘুম হারাম হয়ে গেছে। এসব কারনে ইতিমধ‌্যে তিনি পত্র-পত্রিকা ও নিউজে সংবাদের শিরোনাম হয়েছেন। তার বিরুদ্ধে নিজের ইউনিয়নে মানববন্ধনও হয়েছে।

নির্যাতিতরা একাধিকবার তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছেন, তাকে পুলিশ আটক করেছে, মামরা হয়েছে; কিন্তু তিনি পরিবর্তন হননি। শোকের মাসে ব‌্যাপার পোস্টারে নিজের হাস‌্যোজ্জ্বল চেহারার ছবি দিয়ে নেতাকর্মীদের কাছে হয়েছেন বিতর্কত। দাবি উঠেছে তাকে সংঘঠণ থেকে বহিস্কার করার।

এদিকে বর্তমানে সে রাঙ্গাবালীর ইউনিয়ন্ত্রের সাবেক যুবদলের সভাপতি নিপু মাস্টারের বাসায় বসবাস করায় তাকে নিয়েও সমালোচনার ঝড় বইছে এ উপজেলায়। তবুও রাঙ্গাবালী উপজেলা শাখা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক রয়েছেন স্বপদে বহাল তবিয়তে। এ যেন দেখার কেউ নেই।

সম্প্রতি চরমোন্তাজ এলাকায় তুচ্ছ ঘটনার জেরে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় ধীরেন মণ্ডল (৩৫), বিশ্বজিৎ মজুমদার (৩৪)এবং সুদেব মণ্ডল (২৩) নামে এক কলেজ ছাত্রকে পিটিয়ে মারাত্মক জখম করা হয়েছে। হামলার ঘটনা থেকে রেহাই পেতে একলাখ টাকা মুক্তিপণ দেয়ার প্রতিশ্রুতিতে ছাত্রলীগের কাছ থেকে প্রাণে রক্ষা পান তারা। হামলার ঘটনার পর দোষীদের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ করেছে এলাকাবাসী।

সুদেবের পরিবার অভিযোগ করে বলেন, উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা আশিকুর রহমান উজ্জল পূর্বের ঘটনার জের ধরে তাদের নদীতে মাছ শিকার করতে নিষেধ করে আসছিল। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে ফোনে শাসিয়ে আসত। পরিকল্পিতভাবে শুক্রবার বিকালে ছাত্রলীগ নেতা উজ্জল নিজেই ধীরেন মণ্ডল, বিশ্বজিৎ মজুমদার ও সুদেবকে নদীর কাছে নিয়ে ব্যাপক মারধর করে।

এ নিয়ে আশিকুর রহমমান উজ্জ্বলকে আসামি করে থানায় মামলা দায়েরও করেছেন মারধরের শিকার ভুক্তভোগীরা।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: