বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফের ৫০তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

সময় ট্রিবিউন | ২০ এপ্রিল ২০২১, ২২:২৫

রশ্রেষ্ঠ শহিদ ল্যান্স নায়েক মুন্সী আব্দুর রউফ-ফাইল ছবি

বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে চরম সাহসিকতা আর অসামান্য বীরত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ যে সাতজন বীরকে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সামরিক সম্মান “বীরশ্রেষ্ঠ” উপাধিতে ভূষিত করা হয় মুন্সী আব্দুর রউফ তাঁদের অন্যতম। আজ ২০ এপ্রিল, বীরশ্রেষ্ঠ শহিদ ল্যান্স নায়েক মুন্সী আব্দুর রউফের ৫০তম মৃত্যুবার্ষিকী।

১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় তিনি তার উইংয়ে কর্মরত অবস্থায় ৮ম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে যোগ দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন এবং তিনি মেশিন গানার হিসেবে ৮ নম্বর সেক্টর কমান্ডারের অধীনে রাঙ্গামাটির মহালছড়ি নৌপথ অঞ্চলে বুড়িঘাট নামক স্থানে চিংড়িখালের প্রতিরক্ষায় নিয়োজিত ছিলেন।

৭১-এর ২০ এপ্রিল পাকবাহিনীর সঙ্গে সম্মুখ সমরে মুন্সী আব্দুর রউফের মেশিনগানের গুলিতে পাকবাহিনীর দু'টি লঞ্চ, একটি স্পিডবোড ডুবে যায়। এতে তাদের দুই প্লাটুন সৈন্য মারা যায়। এ সময় হঠাৎ প্রতিপক্ষের ছোঁড়া মটার সেলের আঘাতে তিনি শহিদ হন।

বাবা মুন্সী মেহেদী হাসান ও মা মকিদুননেছার একমাত্র ছেলে মুন্সী আব্দুর রউফ ১৯৪৩ সালের ১ মে ফরিদপুর জেলার মধুখালী উপজেলার কামারখালী ইউনিয়নের রউফনগর (সালামাতপুর) গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১১ বছর বয়সে তার বাবা মারা যান।

আব্দুর রউফ শহিদ হওয়ার দীর্ঘ ২৫ বছর পর ১৯৯৬ সালে বুড়িঘাট নিবাসী জ্যোতিষ চন্দ্র চাকমা ও দয়াল কৃঞ্চ চাকমার সহায়তায় তার কবর শনাক্ত করতে সক্ষম হন। ১৯৯৭ সালে সেখানে একটি স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা হয়।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: