তিনদিন পর প্রবাসীদের জন্য বিশেষ ফ্লাইট চালু

সময় ট্রিবিউন | ১৭ এপ্রিল ২০২১, ১৮:২৮

ছবি: ইন্টারনেট

লকডাউনের কারণে তিন দিন বন্ধ থাকার পর আজ শনিবার থেকে পাঁচটি দেশে বিদেশগামী প্রবাসী বাংলাদেশীদের জন্য বিমানের বিশেষ ফ্লাইট শুরু হচ্ছে। শ্রমবাজার অধ্যুষিত সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ওমান, কাতার ও সিঙ্গাপুরে এই ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে বলে জানিয়েছেন বেসরকারি বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ-বেবিচক।

মূলত এসব দেশে নিয়মিত পরিচালিত ফ্লাইটগুলোই লকডাউনের সময়ে বিশেষ ফ্লাইট হিসেবে পরিচালিত হবে।এর আগে গত বুধবার সচিব পর্যায়ে আন্তঃমন্ত্রণালয়ের বৈঠকে পাঁচটি দেশে বিদেশগামীদের জন্য বিশেষ ফ্লাইট পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। পরের দিন বৃহস্পতিবার মন্ত্রী পর্যায়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে শনিবার থেকে এই বিশেষ ফ্লাইট চালুর সিদ্ধান্ত আসে।

বেবিচকের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মফিদুর রহমান জানান, বিভিন্ন উড়োজাহাজ কোম্পানির নির্ধারিত যেসব ফ্লাইট আছে, সেগুলোই বিশেষ ফ্লাইট হিসেবে যাওয়ার অনুমতি পাচ্ছে। আর নিষেধাজ্ঞার প্রথম তিন দিনে যেসব ফ্লাইট বাতিল হয়েছে, ওই ফ্লাইটের প্রবাসী যাত্রীদের তালিকা তৈরি করবে প্রবাসী মন্ত্রণালয়। তারপর তাদের জন্য অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আলাদা ফ্লাইটের ব্যবস্থা করা হবে।

বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, বিদেশগামী যাত্রীদের করোনাভাইরাস নেগেটিভ সনদসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিমানবন্দরে আনার দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট রিক্রুটিং এজেন্সির। আর যারা এসব দেশ থেকে (প্রবাসী কর্মী) জরুরি প্রয়োজনে ফিরতে চান তাদের সংশ্লিষ্ট দেশে বাংলাদেশ মিশনের ছাড়পত্র গ্রহণ করতে হবে। কোয়ারেন্টিন শর্ত মেনে কোভিড নেগেটিভ সনদ নিয়ে তারা দেশে আসতে পারবেন।

এর আগে করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে কঠোর বিধিনিষেধের আওতায় ১৪ থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত সব আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বন্ধ করে দেয়া হয়। এতে অন্তত ৩০ হাজার পুরোনো ও নতুন কর্মী বিদেশে গিয়ে কাজে যোগদান অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েন। জনশক্তি খাতের ব্যবসায়ী ও সংশ্লিষ্টরা বিদেশে যাওয়ার ফ্লাইট খুলে দেয়ার দাবি জানান।

এদিকে বাংলাদেশ থেকে দক্ষিণ কোরিয়ায় যাওয়া যাত্রীদের মধ্যে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় বাংলাদেশি নাগরিকদের উপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে দেশটির সরকার। শুক্রবার (১৬ এপ্রিল) দেশটির বাংলাদেশ দূতাবাস এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

গতকাল বিকেলে এ বিষয়ে কথা হয়, দক্ষিণ কোরিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাসে নিযুক্ত শ্রম উইংয়ের প্রথম সচিব (উপসচিব) মুকিমা বেগমের সঙ্গে। তিনি জানান, ‘আগের মতোই ইপিএস কর্মীদের একটা অংশ সেখানে গিয়ে পজিটিভ হচ্ছে। এটা অব্যাহত থাকায় দক্ষিণ কোরিয়ার সরকার বাংলাদেশী যাত্রীদের প্রবেশে এই নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।’


আপনার মূল্যবান মতামত দিন: