ষড়যন্ত্রকারীদের রাজনীতি থেকে বিতাড়িত করতে হবে: অ্যাডভোকেট কামরুল

সময় ট্রিবিউন | ২৮ আগষ্ট ২০২১, ২৩:০৫

ছবি : সময় ট্রিবিউন

একাত্তরের পরাজিত শক্তিরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছিলেন। খন্দকার মোস্তাক ও জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর হত্যার সঙ্গে জড়িত। জিয়াউর রহমান কখনো প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা হতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক খাদ্যমন্ত্রী ও ঢাকা-২ আসনের এমপি অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম।

শনিবার (২৮ আগস্ট) সকালে কেরানীগঞ্জের সরকারি ইস্পাহানী কলেজ প্রাঙ্গণে কেরানীগঞ্জ মডেল থানা আওয়ামী লীগ আয়োজিত ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস ও ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলায় নিহত শহীদদের স্মরণে আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিল ও দুস্থদের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় তিনি আরো বলেন, ১৫ আগস্ট, ৩ নভেম্বর ও ২১ আগস্টের হত্যাকাণ্ড একই সূত্রে গাঁথা। ওই একই শক্তি এখনো শেখ হাসিনাকে হত্যা করার জন্য তাড়া করে ফিরছে, এরা এখনো ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। এরা দেশের অগ্রগতিকে থামিয়ে দিতে চায়। এই অপশক্তির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে এবং এদেরকে রাজনীতি থেকে বিতাড়িত করতে হবে।

কামরুল ইসলাম বলেন, ১৫ই আগস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যার বিষয়ে অহেতুক জিয়াউর রহমানকে টেনে আনা হচ্ছে বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্য সত্য নয়। অবিলম্বে একটি কমিশন গঠিত হবে, আর এর মাধ্যমেই বঙ্গবন্ধু হত্যার কুশীলবদের সামনে আনা সম্ভব হবে। ২০০৪ সালে গ্রেনেড হামলার মাধ্যমে একই শক্তি বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে হত্যার ষড়যন্ত্র করেছিল। এদের সঙ্গে কোনো আপস নেই। এদেরকে দেশের রাজনীতি থেকে বিতাড়িত করতে হবে। সুস্থ ধারার রাজনীতির জন্য এদেরকে বিতাড়িত করতেই হবে।

তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি আফগানিস্তানে উগ্রপন্থী তালেবান ক্ষমতায় আসায় আমাদের দেশের একটি পক্ষ উৎফুল্ল। তারা মনে করছে তালেবানের মতো জঙ্গীগোষ্ঠীর মদদে তারা আবার ক্ষমতার মসনদে ফিরে আসবে। তাদের এ স্বপ্ন দিবাস্বপ্ন। বাংলাদেশে আর কোনোদিন জঙ্গীগোষ্ঠী মাথা চাড়া দিতে পারবে না। এই অপশক্তির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। এদেরকে রাজনীতি থেকে বিতাড়িত করতে হবে। এদের সঙ্গে কোনো আপোষ নয়।

দলের সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, সব ভেদাভেদ ভুলে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থেকে ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান তিনি। কোনো জঙ্গিগোষ্ঠী এ দেশে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারবে না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সর্বদা সতর্ক আছে। একটা গোষ্ঠী সবসময় জঙ্গিদের পৃষ্ঠপোষকতা করে যাচ্ছে। নির্বাচন এলেই আন্দোলনের নামে তারা নৈরাজ্য সৃষ্টি করে।

সভায় উপস্থিত ছিলেন কেরানীগঞ্জ মডেল থানা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ইউসুফ আলী চৌধুরী সেলিম, যুগ্ম আহ্বায়ক হাজী শফিউল আজম খান বারকু ও হাজী আলতাফ হোসেন বিপ্লব কেরানীগঞ্জ মডেল থানা যুবলীগের আহ্বায়ক মো. মনির হোসেন, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিব সহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগের ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।


আপনার মূল্যবান মতামত দিন: