চট্টগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৫

সময় ট্রিবিউন | ১৯ জুন ২০২১, ১৭:৩৩

ক্রবার দুপুর তিনটার দিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে পটিয়া ক্রসিংয়ের আগে পেট্রোল পাম্পের সামনে পটিয়াগামী বিআরটিসি বাসের সাথে বিপরীতমুখী মিনিবাসের সংঘর্ষ হয়-ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নারী ও শিশুসহ পাঁচজন নিহত হয়েছেন। এসব দুর্ঘটনায় আরও ২০ জন আহত হয়েছেন।

পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার (১৮ জুন) দুপুরে নগরীর ইপিজেড থানার স্টিলমিল বাজার এবং কর্ণফুলী উপজেলার পটিয়া ক্রসিং এলাকায় পৃথক দুর্ঘটনা ঘটেছে।

নগরীর ইপিজেড থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. রিয়াজ উদ্দিন জানান, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নগরীর স্টিলমিল বাজার সংলগ্ন খালপাড় এলাকায় সড়কে একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রিকশাকে ধাক্কা দেয়। এরপর বাসটি আবার একজন পথচারীকেও চাপা দেয়। রিকশায় বসা আরফা বেগম (৪৫) নামের এক নারী ও তার ভাইয়ের মেয়ে আয়শা আক্তার মিম (৮) ছিটকে পড়ে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান। আহত পথচারী রেজাউল করিমকে (২৪) হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান।

পুলিশ পরিদর্শক রিয়াজ বলেন, ‘আরফা বেগম সিইপিজেডের বাইরে একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করেন। বাড়ি কক্সবাজার জেলায়। বাসা স্টিলমিল বাজার এলাকায়। ভাইঝিকে নিয়ে তিনি ওষুধ কিনতে বের হয়েছিলেন। আর রেজাউল করিম সিইপিজেডে একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করেন। তার বাড়ি কুড়িগ্রাম জেলায়। দুর্ঘটনার পর ৬ নম্বর রুটের সিটিবাসটির চালক আশিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’

এদিকে কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দুলাল মাহমুদ জানান, শুক্রবার দুপুর তিনটার দিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে পটিয়া ক্রসিংয়ের আগে পেট্রোল পাম্পের সামনে পটিয়াগামী বিআরটিসি বাসের সাথে বিপরীতমুখী মিনিবাসের সংঘর্ষ হয়। এতে আহত অবস্থায় কমপক্ষে ২২ জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে নুরুল আবছার (৪৮) এবং ১৮ বছর বয়সী অজ্ঞাতনামা এক কিশোর মারা গেছেন।

ওসি দুলাল মাহমুদ বলেন, ‘পটিয়াগামী বিআরটিসির বাসটি দ্রুতগতিতে চলছিল। মইজ্জ্যারটেক ও কলেজ বাজারের মাঝামাঝিতে এসে একটি সিএনজি অটোরিকশা সড়কে মোড় ঘোরার সময় বিআরটিসির বাসটি উল্টে রাস্তায় উঠে যায়। এ সময় পটিয়া থেকে শহরের দিকে আসা মিনিবাসকে সরাসরি ধাক্কা দেয় বিআরটিসি বাসটি। এতে হতাহতের ঘটনা ঘটে।

চমেক পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই শীলব্রত বড়ুয়া জানান, দুর্ঘটনার পর মোট ২২ জনকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। এদের মধ্যে দু’জন পথেই মারা গেছেন। কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা করে তাদের মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া আহতদের হাসপাতালের ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে।


আপনার মূল্যবান মতামত দিন: