আইনজীবীর কাছ থেকে আসামি ছিনতাইয়ের অভিযোগ

সময় ট্রিবিউন | ৩০ মে ২০২১, ২০:৪১

ফাইল ছবি

যশোরে আত্মসমর্পণ করতে যাওয়ার পথে আদালতের সামনে আইনজীবীর কাছ থেকে হত্যা মামলার এক আসামিকে ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে।রবিবার (৩০ মে) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শহরের মুজিব সড়কে জেলা জজ কোর্টের সামনের রাস্তায় এ ঘটনা ঘটে।

যশোরে আদালতের আইনজীবী তাজমিলুর রহমান সরদার স্বপন বলেন, ‘পাঁচ-ছয় জন সাদা পোশাকের লোক হঠাৎ করেই সেখানে উপস্থিত হয় এবং জোর করে আমার মক্কেল রাজু বিশ্বাস ওরফে টুটুকে (৩৫) তুলে নিয়ে যায়।’

ছিনিয়ে নেওয়া রাজু বিশ্বাস যশোরের অভয়নগর উপজেলার ধোপাদী গ্রামের ভ্যানচালক শুকুর আলী হত্যা মামলার একমাত্র আসামি।

আইনজীবী স্বপন বলেন, ‘রাজু বিশ্বাস আজ আদালতে আত্মসমর্পণ করতে আমার কাছে এসেছিলেন। ওকালতনামা স্বাক্ষরসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তৈরি শেষে তাকে নিয়ে আইনজীবী সমিতি থেকে আদালতে যাচ্ছিলাম। জজ কোর্টের সামনের রাস্তায় পৌঁছাতেই পাঁচ-ছয় জনের একদল লোক আমাদের ঘিরে ধরে। এরপর ধস্তাধস্তি করে জোরপূর্বক তারা রাজু বিশ্বাসকে একটি রিকশায় উঠিয়ে নিয়ে যায়। আমি নিজের পরিচয় দিয়ে তাদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলেও তারা হুমকি-ধামকি দিয়ে চলে যায়। এরপর আদালতে গিয়ে প্রথমে বিচারককে বিষয়টি অবহিত করেছি। পরে যশোরের পুলিশ সুপার, প্রেস ক্লাব যশোরের সভাপতি এবং জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতিকে বিষয়টি অবহিত করেছি।’

উঠিয়ে নিয়ে যাওয়া ব্যক্তিরা কারা হতে পারে– এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি তাদের কাউকেই চিনতে পারিনি। সবাই সাদা পোশাকে ছিলেন।’

জানতে চাইলে যশোর কোতয়ালি থানার ওসি মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ‘আসামি ছিনতাইয়ের কোনও ঘটনা আমার জানা নেই। বিষয়টি কেউই আমাকে জানায়নি। থানা পুলিশের কেউ এ ধরনের কোনও অভিযান পরিচালনা করেনি।’

প্রসঙ্গত, অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ৩ এপ্রিল রাজু বিশ্বাসের ভ্যান-রিকশা মেরামতের দোকানে গিয়ে শুকুর আলী নামে এক ব্যক্তি ভ্যান মেরামত করান। মেরামতের জন্য পাওনা ৩০ টাকা কাজ শেষে সন্ধ্যায় ফেরার পথে দেওয়ার কথা বলে শুকুর আলী চলে যান। সন্ধ্যায় ফেরার পথে রাজু তার কাছে পাওনা টাকা চাইলে তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে রাজু হাতে থাকা রেঞ্জ দিয়ে শুকুর আলীর মাথায় আঘাত করেন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় শুকুর আলীর স্ত্রী আনোয়ারা বেগম বাদী হয়ে রাজু বিশ্বাসের নামে মামলা করেন। ঘটনার পর থেকে রাজু বিশ্বাস পলাতক ছিলেন।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: