বইমেলা করে জেলা প্রশাসন একটি সাংস্কৃতিক জাগরণ ঘটিয়েছে : শিল্পমন্ত্রী 

আশিকুর রহমান | ২ মার্চ ২০২৪, ১৭:২৭

বইমেলা করে জেলা প্রশাসন একটি সাংস্কৃতিক জাগরণ ঘটিয়েছে : শিল্পমন্ত্রী 
নরসিংদী পৌর পার্কের মতো একটি জায়গায় বইমেলা করে জেলা প্রশাসন একটি সাংস্কৃতিক জাগরণ ঘটিয়েছে বলে প্রশংসা করেন শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ হুমায়ুন। 
 
শুক্রবার (১ মার্চ) নরসিংদী শহরের পৌর পার্কে মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে ১০ দিনব্যাপী জেলা প্রশাসক কর্তৃক আয়োজিত অমর একুশে বইমেলা এর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে তিনি এ কথা বলেন।
 
তিনি আরও বলেন, এ ধারা অব্যাহত রাখতে পৌর পার্ক এলাকাটি হবে জেলার কালচারাল হাব। সংস্কৃতির বিকাশে এখানে নিয়মিতভাবে আয়োজন করা হবে বিভিন্ন সাহিত্য-সাংস্কৃতিক উৎসব। যে কোন সংগঠন জেলা প্রশাসনের অনুমতি সাপেক্ষে এখানে অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে পারবে।
 
জেলা প্রশাসক ড. বদিউল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নুরুল হুদা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) কেএম শহিদুল ইসলাম সোহাগ।
 
জেলা প্রশাসক ড. বদিউল আলম বঙ্গবন্ধু পৌর পার্কে নির্মিত মঞ্চকে 'একুশে মুক্তমঞ্চ' নামকরণ করেন এবং মঞ্চটিকে একটি স্থায়ী পাকা মঞ্চ করার ঘোষণা করেন এবং যে কোন সংগঠন জেলা প্রশাসনের অনুমতি সাপেক্ষে এখানে অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে পারবে বলেও জানান।
 
তিনি আরও বলেন, তরুণ প্রজন্মকে বই পড়ার আগ্রহ তৈরিতে উৎসাহ প্রদান, ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বুকে লালন করে সর্বস্তরের জনগণকে হাতে হাত রেখে নরসিংদী জেলাকে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ জনপদ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান। একই সাথে তিনি অস্থায়ী মঞ্চটিকে স্থায়ী করার ঘোষণা দেন ও এর নামকরণ করেন। 
 
আলোচনা শেষে প্রধান অতিথি ১০ দিনব্যাপী বইমেলায় অংশগ্রহণকারী সংগঠনগুলোকে শুভেচ্ছা স্বারক ও সার্টিফিকেট তুলে দেন। এছাড়াও বইমেলার স্টলগুলোর মাঝে বেস্টসেলার ক্যাটাগরিতে ৩টি স্টলকে এবং সাজসজ্জা ক্যাটাগরিতে ৩টি স্টলকে শুভেচ্ছা স্বারক প্রদান করেন। পরে আগত অতিথিবৃন্দরা মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন। 
 
উল্লেখ্য, জেলা প্রশাসক কর্তৃক আয়োজিত ১০ দিনব্যাপী এ বইমেলায় ঢাকা ও স্থানীয় প্রকাশনীসহ মোট ৬৮ টি প্রতিষ্ঠান প্রায় ১০০ টি স্টলে তাদের প্রদর্শনী করে। নরসিংদীর মানুষের মাঝে বই পড়ার চর্চা ছড়িয়ে দেওয়ার পাশাপাশি স্থানীয় কৃষ্টি-কালচার এর উন্নয়ন, জ্ঞান-বিজ্ঞান আলোচনা, বিতর্ক, কুইজ, সেমিনার ও চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা ও শিল্পগোষ্ঠীসমূহের সাংস্কৃতিক পরিবেশনা ছিল প্রতিদিন। 


আপনার মূল্যবান মতামত দিন: