সোলার মিনি গ্রিড : রাজনৈতিক সদিচ্ছার সফল বাস্তবায়ন

নসরুল হামিদ | ২১ জুন ২০২৩, ০৫:৪৩

ছবি- সংগৃহীত

২০০৮ সাল, দেশের মোট জনসংখ্যার মাত্র ৪৪ শতাংশ মানুষ যেখানে দৈনিক ১২-১৬ ঘন্টা লোডশেডিং-সহ কোনোমতে বিদ্যুৎ পেতেন, তখন জননেত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা দিয়েছিলেন ২০২১ সালের মধ্যে তিনি দেশের প্রতিটি ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিবেন।

বাস্তবতার প্রেক্ষিতে এটা ছিলো অত্যন্ত উচ্চাকাঙ্ক্ষী, ভীষণ সাহসী এক ঘোষণা। ৭০০ নদীর দেশ বাংলাদেশ। অসংখ্য দুর্গম ও প্রত্যন্ত চর, দ্বীপ এলাকা ঘিরে আছে আমাদের দেশ। সেসব বিচ্ছিন্ন এলাকায় তাৎক্ষনিকভাবে জাতীয় গ্রিডের মাধ্যমে বিদ্যুৎ পৌঁছানো ছিল অসম্ভব একটি কাজ। সেখানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সৃজনশীল সিদ্ধান্ত পাল্টে দিয়েছে দৃশ্যপট।

অফগ্রিড অঞ্চলগুলোতে আমরা দ্রুততম সময়ে বিদ্যুৎ পৌঁছানোর লক্ষ্যে মিনি গ্রিড স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিই। মিনি গ্রিড অর্থাৎ মাঝারি আকারের সোলার প্যানেল স্থাপন করে ব্যাটারি স্টোরেজের সাহায্যে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীকে ২৪ ঘণ্টা বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় আনা হয়।

এর মাধ্যমে পিছিয়ে পড়া চর, দ্বীপাঞ্চলে দূর হয়েছে হাজার বছরের অন্ধকার। বিদ্যুৎ সুবিধা কাজে লাগিয়ে গড়ে উঠেছে কুটির শিল্প, রাইস মিল, মশলা ভাঙ্গানো মিল, শ’মিল।

স্থানীয় বাজারগুলোতে অনেক রাত পর্যন্ত চলছে বেচাকেনা, স্কুলের ছেলেমেয়েরা পড়াশুনা করতে পারছে গভীর রাত পর্যন্ত, গতিশীল হয়েছে অর্থনৈতিক কর্মকান্ড। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী সিদ্ধান্তে গড়ে ওঠা ২৫টি মিনি সোলার গ্রিড লক্ষাধিক মানুষকে যুক্ত করেছে দেশের মূল স্রোতের সাথে। সমৃদ্ধ হয়েছে জীবনমান, বিদ্যুতের ফলে গতিশীল হয়েছে দেশের অর্থনীতির চাকা।


আপনার মূল্যবান মতামত দিন: