বিএনপি'র মহাসচিব ঘটনাস্থলে না এসে ঢাকায় বসে সরকারের ব্যর্থতা খুঁজছেন: তথ্যমন্ত্রী

নাজমুস সাকিব মুন, পঞ্চগড় প্রতিনিধি | ৩ অক্টোবর ২০২২, ২২:২৬

সংগৃহীত

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের বাড়ি পাশের জেলা ঠাকুরগাঁওয়ে। ঘটনাস্থল থেকে মাত্র ৫০ মিনিটের রাস্তা। অথচ তিনি এখানে না এসে ঢাকায় বসে সরকারের ব‌্যর্থতা খুঁজছেন। বলে মন্তব‌্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ন আহ্বায়ক এবং তথ‌্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ।

রোববার বিকেলে পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার মাড়েয়া বামনহাট ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে নৌকাডুবিতে মৃত ও ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের মাঝে অর্থসহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। এসময় আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে প্রত‌্যেক মৃত ও নিখোঁজ ব‌্যক্তির অভিভাবকদের হাতে নগদ ৫০ হাজার করে টাকা তুলে দেন তিনি।

প্রধান অতিথির বক্তব‌্যে মন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ শুধু কথা বলেনা, আওয়ামী লীগ মানুষের পাশে থাকে, মানুষের পাশে দাঁড়ায়। নৌকা ডুবির ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থদের প্রশাসন, ধর্ম মন্ত্রণালয়, ত্রাণ মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন জায়গা থেকে সহায়তা দেয়া হয়েছে। এবার আমরা দল হিসেবে এসেছি। অসহায় মানুষগুলোর পাশে এসে দাঁড়িয়েছি। এটা আওয়ামী লীগের আদর্শ।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ এমন একটি দল যারা মানুষের বিপদে সবসময় পাশে থাকে। আমাদের দল কর্মী এবং মানুষের টাকায় চলে। সেই টাকা আমরা মানবিক সাহায‌্য হিসেবে প্রদান করছি।

কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল‌্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দীর সভাপতিত্বে অর্থসহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে আরো বক্তব‌্য রাখেন রেলপথ মন্ত্রী অ‌্যাড. নূরুল ইসলাম সুজন। তিনি বলেন, নৌকাডুবির ঘটনাস্থল করতোয়া নদীর আউলিয়া ঘাটে আগামী বছরই সেতু নির্মাণের কাজ শুরু হবে। সেতু নির্মানের সকর সক্ষমতা যাচাই করে এর বরাদ্দ ইতোমধ‌্যে একনেকে পাশ হয়েছে। এই এলাকার মানুসের জন‌্য এটি প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি ছিলো।

এসময় উপস্থিত ছিলেন- কেন্দ্রী পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি সুকুমার চৌধুরি, পঞ্চগড় জেলা পরিষদ প্রশাসক আনোয়ার সাদাত সম্রাট বোদা পৌরসভার মেয়র ওয়াহেদুজ্জামান সুজা প্রমূখ।

উল্লেখ‌্য, গত রোববার (২৫ সেপ্টেম্বর) শারদীয় দুর্গোৎসবের মহালয়া উপলক্ষে পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার মাড়েয়া আউলিয়া ঘাট থেকে শতাধিক মানুষ শ্যালো ইঞ্জিনচালিত একটি নৌকায় করে বড়শশী ইউনিয়নের বদেশ্বরী মন্দিরের দিকে যাচ্ছিলেন। ঘাট থেকে নৌকাটি কিছু দূর যাওয়ার পর দুলতে শুরু করে। এক পর্যায়ে নৌকাটি ডুবে যায়। পরে উদ্ধার অভিযান শুরু করে প্রশাসন। এই ঘটনায় বুধবার বিকেল পর্যন্ত ৬৯ জনের লাশ উদ্ধার হয়েছে। এখনো নিখোঁজ রয়েছে ৩ জন।

এই ঘটনায়, প্রত‌্যেক মৃতের পরিবার এখন পর্যন্ত জেলা প্রশাসন থেকে ২০ হাজার, ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে ২৫ হাজার, ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে ৫০ হাজার, আওয়ামী লীগ থেকে ৫০ হাজার, জামায়াত ইসলামী থেকে ৩০ হাজার এবং বিএনপি থেকে ১০ হাজার করে টাকা অর্থ সহায়তা পেয়েছে।


আপনার মূল্যবান মতামত দিন: