শেখ হাসিনাকে হত্যার চক্রান্ত হচ্ছে কি না তদন্ত চান হারুন

সময় ট্রিবিউন | ২ সেপ্টেম্বর ২০২২, ২১:০৬

সংগৃহীত

সংসদে আবুল কালাম আজাদের বক্তব্য উদ্ধৃত করে বিএনপির সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ বলেন, ‘এটা খুবই উদ্বেগের। আসলেই শেখ হাসিনাকে হত্যার চক্রান্ত হচ্ছে কি না, কারা এই চক্রান্তের সঙ্গে জড়িত তা বের করতে গভীরভাবে তদন্ত করা দরকার।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার জন্য সত্যিই চক্রান্ত হচ্ছে কি না তা তদন্তের দাবি জানিয়েছেন বিএনপির সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ।

বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এই দাবি জানান। তিনি এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর স্পষ্ট বক্তব্য চান।

এর আগে বুধবার সরকারি দলের সদস্য সাবেক তথ্যমন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ সংসদে দাবি করেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার চক্রান্ত হচ্ছে। অর্থের বিনিময়ে সরকারি দলের লোকজনও এই চক্রান্তের সঙ্গে জড়িত।’

আবুল কালাম আজাদের ওই বক্তব্য উদ্ধৃত করে হারুন বলেন, ‘এটা খুবই উদ্বেগের। আসলেই এ ধরনের চক্রান্ত হচ্ছে কি না, কারা এই চক্রান্তের সঙ্গে জড়িত তা বের করতে গভীরভাবে তদন্ত করা দরকার।’

হারুনুর রশীদ বলেন, ‘ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাঈদ খোকন এক বক্তব্যে বলেছেন যে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার আগে নাকি তার বাবা তাকে দায়িত্ব দিয়েছিলেন তাদের নেত্রী শেখ হাসিনাকে অবহিত করতে যে ওইদিন হামলা হতে পারে। এসব তথ্য আসলে কী?’

বর্তমান পরিস্থিতির সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘যারা গুম হয়েছে তাদের পরিবার কি আইনের আশ্রয় পাবে না? আন্দোলন-সংগ্রামে গুলিতে আমাদের নেতাকর্মীরা মারা যাচ্ছে। তবে গুম সম্পূর্ণ ভিন্ন বিষয়। মানবাধিকার, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা- এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হওয়া দরকার।

‘সরকারি দল বলছে, দেশ উন্নয়নের মহাসড়কে চলছে। দুর্নীতি, টাকা পাচার, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, সড়ক দুর্ঘটনা- এগুলো কি কমেছে? নির্বাচন ব্যবস্থার কি উন্নয়ন হয়েছে?’

বর্তমান নির্বাচন কমিশনকে ‘জাদুর বাক্স’ আখ্যা দিয়ে বিএনপির এই সংসদ সদস্য প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে বলেন, ‘যাদের দায়িত্ব দিয়েছেন তাদের সংযত হয়ে কথা বলতে বলুন।’

হারুন ইভিএম নিয়ে নির্বাচন কমিশনারদের বক্তব্যেরও সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, ‘গত নভেম্বরে আমার নির্বাচনি এলাকায় ইভিএমে যে পৌরসভা নির্বাচন হয়েছে সেখানে ভোট ডাকাতি হয়েছে। যদি নির্বাচন কমিশন প্রমাণ করতে পারে যে ডাকাতি হয়নি তাহলে যে জরিমানা করবে তা আমি দেব।’

বিএনপির এই সংসদ সদস্য আরও বলেন, ‘ভারত বাংলাদেশকে পানিতে মারছে। তারা এ দেশের বন্দর ব্যবহার করছে। কিন্তু বাংলাদেশকে ট্রানজিট দিচ্ছে না। প্রধানমন্ত্রী ভারত সফরে যাবেন। বাংলাদেশ পাকিস্তান থেকে মুক্ত হয়েছে ভারতের আনুগত্য করার জন্য নয়, এটা নিশ্চিত করতে হবে।’


আপনার মূল্যবান মতামত দিন: