তরুণ প্রজন্মই বাংলাদেশের বড় শক্তি: শিক্ষামন্ত্রী

নাজমুল ইসলাম, পাবিপ্রবি | ২৭ আগষ্ট ২০২২, ০৩:৪৬

সংগৃহীত

শিক্ষার্থীদের সোনার মানুষ হিসেবে গড়ে ওঠার পরামর্শ দিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, আজকের তরুণ প্রজন্মরাই ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গড়বার কাণ্ডারী, সবচেয়ে বড় শক্তি। নতুন প্রজন্ম বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও চেতনাকে কতটা হৃদয়ে ধারণ করতে পারছেন এটা জানা খুব জরুরি। তরুণদের অনেক বেশি সচেতন হতে হবে। প্রথমত পড়াশোনাটা ঠিকমত করতে হবে।

শুক্রবার (২৬ আগস্ট) সকাল ১০টায় পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পাবিপ্রবি) আয়োজিত স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মরণে 'বঙ্গবন্ধু: বাংলাদেশ জাতি-রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মহানায়ক' শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমরা শিক্ষা ব্যবস্থার ব্যাপক পরিবর্তন আনছি। শিক্ষাটাকে আনন্দময় করার চেষ্টা করছি। বিজ্ঞানসম্মত ও প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনী উৎকর্ষতায় মানবিক শীতল মানুষ যেনো তৈরী হয় আমরা সেই চেষ্টাই করছি। এখানে শিক্ষক ও অভিভাবকদের বড় একটি ভূমিকা রয়েছে। সবার নিজ নিজ জায়গা থেকে করা সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা একটি সুখী,সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন দেখি।

দীপু মনি বলেন, স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ বললে পৃথিবীর মানুষ এই দেশকে চিনতেন না,শেখ মুজিবের দেশ বললে সবাই চিনে। এই থেকে উপলব্ধি করা যায় শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশ ও বাঙালি জাতির রন্ধ্রে মিশে আছেন। কিন্তু এই সফলতা কুচক্রী মহল সইতে না পেরে স্বাধীনতার এই মহানায়ককে সপরিবারে হত্যা করে এক কলঙ্কিত অধ্যায় রচনা করেছে। সেই কলঙ্কিত দিনে এই বাঙালি জাতির কান্না ও প্রকৃতির কান্না একাকার হয়ে গিয়েছিল। পরবর্তীতে উনার উত্তরাধিকারী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে গত ৪১ বছরে অন্তত ২১ বার হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। বাংলাদেশের চলমান অগ্রযাত্রাকে থামিয়ে দিতে আবারো উদ্যত হয়েছে সেই ঘাতকের দল। আমাদেরকে সচেতন থাকতে হবে, সতর্ক থাকতে হবে।

কিছুতেই যেনো এই অগ্রযাত্রা ব্যহত না হয় সেই লক্ষ্যে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে আমাদের তরুণ প্রজন্মদের বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বলীয়ান হতে হবে। তরুণরাই বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ কান্ডারী,বাংলাদেশের শক্তি।

এ সময় শিক্ষামন্ত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর স্মরণে নির্মিত 'জনক জ্যোতির্ময় ম্যাুরালে' শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ে নবনির্মিত লেক 'আনন্দ সরোবর' ও কেন্দ্রীয় মন্দির উদ্ভোধন করেন।

পবিত্র ধর্মগ্রন্থ থেকে পাঠ,জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালনের মধ্য দিয়ে মূল অনুষ্ঠান শুরু হয়। এ সময় পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপর প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়। এছাড়াও শিক্ষা ও গবেষণায় বিশেষ অবদান রাখায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১ জন শিক্ষককে 'গবেষণা সম্মাননা স্মারক-২০২২' প্রদান করেন শিক্ষামন্ত্রী।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুনের সভাপতিত্বে এ সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস. এম. মোস্তফা কামাল খান। এ সভার মূখ্য আলোচক ছিলেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মশিউর রহমান।

এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পাবনা-০৪ আসনের সাংসদ মো. নুরুজ্জামান বিশ্বাস,পাবনা-০২ আসনের সাংসদ আহমেদ ফিরোজ কবির, স্কয়ার গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অঞ্জন চৌধুরী, বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশন সদস্য অধ্যাপক ড. নূরজাহান বেগম প্রমূখ।


আপনার মূল্যবান মতামত দিন: