সাংবাদিকদের ওপর হামলা: তিন সাংবাদিক কারাগারে

সময় ট্রিবিউন | ২ নভেম্বর ২০২১, ০৬:০২

কারাগার-প্রতীকী ছবি

রাজশাহীতে সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় ১৪ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। এ মামলায় তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করে সোমবার দুপুরে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গতকাল রোববার দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়নের (আরইউজে) সাধারণ সম্পাদক তানজিমুল হক বাদী হয়ে নগরের বোয়ালিয়া থানায় এ মামলা করেছেন।

মামলার আসামিরা হলেন ফারুক আহমেদ, রেজাউল করিম, মো. লিয়াকত, মো. রাজন, মাজহারুল ইসলাম চপল, আল-আমিন হোসেন, শাহীনুর রহমান সোনা, আবু কাউসার মাখন, শামসুল ইসলাম, সুমন হোসেন, সুভাষ, হারুনুর রশীদ, সাগর নোমানী ও শাহীন সাগর। তাঁদের বিরুদ্ধে সাংবাদিক পরিচয়ে অনৈতিক কাজ করার অভিযোগ রয়েছে। তাঁদের মধ্যে ফারুক, রেজাউল ও লিয়াকতকে গতকাল বিকেলে পুলিশ গ্রেপ্তার করে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বোয়ালিয়া থানার উপপরিদর্শক মো. শাহীন আকতার জানান, সম্প্রতি এসব অনৈতিক কাজের জন্য ফারুকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেছেন একজন শিক্ষা কর্মকর্তা। রেজাউলের বিরুদ্ধে বোয়ালিয়া থানায় চাঁদাবাজি ও মারামারির দুটি মামলা আছে। লিয়াকতের বিরুদ্ধে বাগমারা থানায় চাঁদাবাজির একটি মামলা আছে। অন্য আসামিদের মধ্যে মাজহারুল ইসলাম চপলের বিরুদ্ধেও চাঁদাবাজির বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে। আজ দুপুরের পর গ্রেপ্তার রেজাউল, লিয়াকত ও ফারুককে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।

মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামিরা গতকাল সকালে নগরের শহীদ এ এইচ এম কামারুজ্জামান চত্বরে আরইউজের সভাপতি রফিকুল ইসলাম, স্থানীয় দৈনিক সানশাইনের স্টাফ রিপোর্টার রাজু আহমেদ, জনকণ্ঠের ফটোসাংবাদিক সেলিম জাহাঙ্গীর, যুগান্তরের ফটোসাংবাদিক আজম খান ও গণধ্বনি প্রতিদিনের ফটোসাংবাদিক কাবিল হোসেনের ওপর হামলা চালান। এ সময় আজম খানের ক্যামেরা এবং রফিকুল ইসলামের জামার পকেট থেকে ১৯ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেন হামলাকারীরা। রাজু আহমেদের একটি মুঠোফোনও কেড়ে নিয়ে আছড়ে ভেঙে ফেলেন তাঁরা।

ওই ঘটনার প্রতিবাদে গতকাল বেলা ১১টা থেকে বিকেল পৌনে ৫টা পর্যন্ত কামারুজ্জামান চত্বরে সড়ক অবরোধ করেছিলেন সাংবাদিকেরা। তাঁরা অভিযুক্ত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার এবং তাঁদের প্রশ্রয় দেওয়ার অভিযোগে বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিবারণ চন্দ্র বর্মনের প্রত্যাহার দাবি করেন। ওসিকে প্রত্যাহারে সাংবাদিকেরা ৭২ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছেন। এ সময়ের মধ্যে ওসিকে প্রত্যাহার করা না হলে আগামী বুধবার থানা ঘেরাও কর্মসূচি আছে।

এদিকে পেশাদার সাংবাদিকদের লাঞ্ছিত করার ঘটনায় জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ আজ একটি বিবৃতি দিয়েছেন। এতে তিনি অপসাংবাদিকদের প্রতিহত করে সাংবাদিকতা পেশার সম্মান রক্ষা করতে প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান এবং মূলধারার পেশাদার সাংবাদিকদের পাশে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করে আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করেন। অপসাংবাদিকদের প্রশাসন যেন আশ্রয়-প্রশ্রয় না দেয়, সেদিকেও নজর দেওয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দৃষ্টি দেওয়ার অনুরোধ করেন তিনি।


আপনার মূল্যবান মতামত দিন: