পিবিআইয়ের প্রতিবেদনে নারাজি দিলেন সালমান শাহ'র মা

সময় ট্রিবিউন | ১ নভেম্বর ২০২১, ০৪:১৭

সালমান শাহ-ফাইল ছবি

চিত্রনায়ক সালমান শাহর ‘অপমৃত্যুর’ ঘটনায় করা মামলায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) তদন্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে আদালতে নারাজি আবেদন জমা দিয়েছেন সালমান শাহর মা নিলুফার চৌধুরী ওরফে নীলা চৌধুরী।

ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে আইনজীবীর মাধ্যমে এ আবেদন জমা দিয়েছেন। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের অপরাধ ও তথ্য বিভাগের উপপরিদর্শক (এসআই) ফুয়াদ উদ্দিন।

আদালতে জমা দেওয়া নারাজি আবেদনে বলা হয়েছে, সালমান শাহের অপমৃত্যুর মামলাটি সঠিকভাবে তদন্ত না করে আসামিপক্ষ দ্বারা প্রভাবিত হয়ে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে।

নীলা চৌধুরীর আইনজীবী ফারুক আহমেদ জানান, সালমান শাহর মা অসুস্থ হয়ে এখন লন্ডনে অবস্থান করছেন। তবে পিবিআইয়ের তদন্ত প্রতিবেদনে তিনি সংক্ষুব্ধ। তাই পিবিআইয়ের তদন্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে রোববার আদালতে নারাজি আবেদন জমা দিয়েছেন তিনি। তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার অধ্যাদেশ, ২০২০ মোতাবেক ভার্চ্যুয়ালি নীলা চৌধুরীর জবানবন্দি রেকর্ড করার জন্য আদালতের কাছে তিনি আবেদন করেন। আদালত এখনো কোনো আদেশ দেননি।

গত বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি সালমান শাহর অপমৃত্যুর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইয়ের পরিদর্শক সিরাজুল ইসলাম ঢাকার সিএমএম আদালতের সংশ্লিষ্ট শাখায় ৬০০ পৃষ্ঠার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন।

পিবিআইয়ের তদন্ত প্রতিবেদন বলছে, সালমান শাহকে খুন করা হয়নি। তিনি আত্মহত্যা করেন। এ আত্মহত্যার পেছনে পাঁচটি কারণ ছিল।

১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর সালমান শাহর লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় অপমৃত্যুর মামলা করেন তাঁর বাবা কমরউদ্দিন আহমদ চৌধুরী।

১৯৯৭ সালের ৩ নভেম্বর আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয় পুলিশের অপরাধ ও তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। এ প্রতিবেদনে সালমান শাহর মৃত্যুকে ‘আত্মহত্যা’ বলে উল্লেখ করা হয়।

সিআইডির প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে সালমান শাহর বাবা ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে রিভিশন আবেদন করেন। ২০০৩ সালের ১৯ মে মামলাটি বিচার বিভাগীয় তদন্তে পাঠানো হয়। এ আদেশের প্রায় ১২ বছর পর ২০১৪ সালের ৩ আগস্ট বিচার বিভাগীয় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। এতেও সালমান শাহর মৃত্যুকে ‘অপমৃত্যু’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়।

২০১৫ সালের ১৯ এপ্রিল মহানগর দায়রা জজ আদালতে আবার রিভিশন আবেদন করেন নীলা চৌধুরী। ২০১৬ সালের ২১ আগস্ট আদালত পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেন।


আপনার মূল্যবান মতামত দিন: