জেএমবির বোমা তৈরির প্রধান প্রশিক্ষকসহ গ্রেপ্তার ৩

সময় ট্রিবিউন | ১২ আগষ্ট ২০২১, ০০:১২

ফাইল ছবি

নব্য জেএমবির সামরিক শাখার প্রধান প্রশিক্ষক ও বোমা প্রস্তুতকারীসহ তিন জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গতকাল রাজধানীর কাফরুল থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে জাহিদ হাসান ওরফে রাজু ওরফে ইসমাঈল হাসান ওরফে ফোরকান, সাইফুল ইসলাম মারুফ ওরফে বাসিরা এবং রুম্মান হোসেন ফাহাদ ওরফে আব্দুল্লাহকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) বোম ডিসপোজাল ইউনিটের একটি টিম।

এ সময় তাদের কাছ থেকে বিস্ফোরক পদার্থ, ঢাকনাযুক্ত জিআই পাইপ, রিমোট কন্ট্রোল ডিভাইস, লোহার বল, সাংগঠনিক কাজে ব্যবহৃত তিনটি মোবাইল ফোন ও একটি ট্যাব উদ্ধার করা হয়।

তাদের নামে কাফরুল থানায় মামলা রুজু করা হয়েছে এবং ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

বুধবার দুপুর ১২টায় ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানান সিটিটিসির প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান।

সিটিটিসি প্রধান বলেন, ‘গ্রেপ্তারকৃত জাহিদ হাসান জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রসায়নে অনার্স সম্পন্ন করেছেন। ২০১৬ সালে অনলাইনে “হোয়াইট হাউজের মুফতি” নামের আইডির মাধ্যমে উগ্রবাদে উদ্বুদ্ধ হয়ে নব্য জেএমবিতে যোগ দেন তিনি। রসায়নে পরদর্শী জাহিদের মেধা ও সাহসের কারণে তাকে এই সংগঠনের সামরিক শাখার সদস্য হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। অল্পদিনেই সে গ্রেনেড ও বোমা তৈরিতে অত্যন্ত দক্ষ হয়ে ওঠে এবং নিত্য নতুন কৌশলে আইইডি (ইমপ্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস) প্রস্তুত করে। এই সংগঠনের যারা বোমা ও গ্রেনেড তৈরি করে তাদের হাতে কলমে প্রশিক্ষণ দিত জাহিদ।’

তিনি আরও বলেন, ‘গ্রেপ্তারকৃত অপর অভিযুক্ত সাইফুল ইসলাম মারুফ একজন দক্ষ বোমা তৈরির কারিগর। অনলাইনে জাহিদের কাছ থেকে বোমা তৈরির প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন তিনি। বেশ কয়েকটি বোমা হামলার ঘটনায় তার সম্পৃক্ততার বিষয়ে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে। সাইফুল ইসলাম মারুফ ও মো. রুম্মান হোসেন ফাহাদ সংগঠনের ফান্ড তৈরির জন্য ইলেকট্রিক শক থেরাপির মাধ্যমে অজ্ঞান করে ছিনতাই ও ডাকাতি করার জন্য টঙ্গী থানাধীন রেলগেট এলাকায় রুম ভাড়া নিয়েছিলেন।’



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: