মেয়ে সেজে প্রেম করে অপহরণ: বেরোবি’র ৪ শিক্ষার্থী গ্রেপ্তার

সময় ট্রিবিউন | ৬ জুন ২০২১, ০৪:৪১

ভুয়া ফেসবুক আইডি খুলে মেয়ে সেজে প্রেমের পর অপহরণ করে টাকা আদায়ের ঘটনায় গ্রেপ্তার বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের চার শিক্ষার্থী-ছবি: সময় ট্রিবিউন

ভুয়া ফেসবুক আইডি খুলে মেয়ে সেজে প্রেমের পর অপহরণ করে টাকা আদায়ের ঘটনায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) চার শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

শনিবার (৫ জুন) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন সর্দারপাড়া এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে তাজহাট থানা পুলিশ।

গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তাজহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আক্তারুজ্জামান প্রধান।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন-নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার উত্তর খড়িবাড়ী এলাকার কলিমুদ্দিন মণ্ডলের ছেলে ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের পঞ্চম ব্যাচের ছাত্র মানিক রহমান সাজু (২৭); পঞ্চগড়ের অটোয়ারী উপজেলার মংলু চন্দ্রের ছেলে ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের পঞ্চম ব্যাচের ছাত্র দুলাল চন্দ্র (২৭); লালমনিহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার চলবলা এলাকার পুলিন চন্দ্রের ছেলে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সপ্তম ব্যাচের ছাত্র জগত পতি (২৬); লালমনিহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার দক্ষিণ জাওরানী এলাকার বারেক মিয়ার ছেলে ও বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ছাত্র শাহ আলম সাদেক (২৬)।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আটককৃতরা ফেসবুকে ‘সিনথিয়া’ নামে একটি ভুয়া আইডি খুলে নীলফামারীর ডিমলা এলাকার খোকরুজ্জামান মিয়ার ছেলে আসাদুজ্জামানকে (২৬) প্রেমের ফাঁদে ফেলেন। দীর্ঘদিন ধরে মেয়েলি কণ্ঠে কথাও বলে আসছিলেন আটককৃতরা। শনিবার দুপুরে আসাদুজ্জামানকে দেখা করার কথা বলে রংপুরের কারমাইকেল কলেজ ক্যাম্পাসে ডেকে নিয়ে আসেন। এরপর ৬-৭ জন মিলে আসাদুজ্জামানকে কৌশলে জিম্মি করে দুপুর ১টার দিকে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়ার সামনে জঙ্গলের ভেতরে নিয়ে যান। পরে তাকে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে তার পরিবারের কাছে ফোনের মাধ্যমে টাকা দাবি করেন। একপর্যায়ে মারধর করে বিকাশে ২৩ হাজার টাকা এবং একটি ফাঁকা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেন।

পরে আসাদুজ্জামানকে ছেড়ে দিলে তিনি বিষয়টি পুলিশকে জানান। খবর পেয়ে তাজহাট থানা পুলিশ অপহরণকারীদের সর্দারপাড়া থেকে আটক করে। এরপর সন্ধ্যায় তাজহাট থানায় আসাদুজ্জামান বাদী হয়ে অপহরণকারীদের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

তাজহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আক্তারুজ্জামান প্রধান বলেন, গ্রেপ্তারকৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাদের অপরাধ স্বীকার করেছেন। বাকি অজ্ঞাত আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।


আপনার মূল্যবান মতামত দিন: