ভূত পেত্নীরা কোথায় থাকে?

সময় ট্রিবিউন | ১২ জুলাই ২০২২, ২২:০০

সংগৃহীত

ভূত দেখেছেন এমন লোকের সংখ্যা কম নয়!

তবে ভূত পেত্নী কিন্তু দেখতে চাইলেই দেখা যায় না। আমরা ফুল গাছে ফুল দেখতে পাই, কারণ ফুল ফোটে।

ফুল হাত দিয়ে ছোঁয়া যায়, গন্ধ নেওয়া যায়। কিন্তু ভূত পেত্নী কি আসলেই আছে? যদি থাকে, তাহলে তারা কোথায় থাকে? তাদের দেখতে কেমন? তাদেরকে কি ধরা যায়? বাড়িতে আনা যায়? কখন তাদের দেখতে পাওয়া যায়? এসব নিশ্চয় জানতে ইচ্ছে করছে।

সব মানুষই কম বেশি ভূত পেত্নী আছে বলে বিশ্বাস করে। ইচ্ছেমতো ভূত দেখা না গেলেও কিছু কিছু জায়গায় গেলে ভূত দেখা যায় বলে বিশ্বাস আছে। মানুষ ধারণা করে ভূতেরা সাধারণত ভাঙা পুরানো বাড়ি, গোরস্থান, শ্মশান, বট গাছ, গাব গাছ, শেওড়া গাছ, তাল গাছ, বাঁশ বাগান, বনের পুকুর পাড়ে প্রভৃতি জায়গায় বাস করে। কারণ এই জায়গাগুলোতে মানুষ কম যায়।

কিন্তু বিজ্ঞান বলে ভিন্ন কথা। বিজ্ঞানের কাছে আগুনের পাঁচ পা দেখা, রাতে বট গাছে বিশাল লম্বা সাদা মানুষ দেখা, কবরস্থানের পাশ দিয়ে চলার সময় ঘাড় মটকে দেওয়া সবই কল্পনা। এগুলোর কোনো অস্তিত্ব নেই।

বিজ্ঞান মনে করে ভূতের অস্তিত্ব নেহাৎ একটি কাল্পনিক ব্যাপার। ভূত দেখার ঘটনা মন বা চোখের বিভ্রম ছাড়া কিছুই না। কোনো জিনিসকে অবিকল যা আছে তা আমরা নাও দেখতে পেতে পারি, যদি আমাদের মন ও চোখ তাকে গুরুত্ব না দিয়ে ভিন্ন কিছু দেখতে বা ভাবতে চায়।

মরুভূমিতে যে মরীচিকা দেখা যায় সেও এক রকম চোখের বিভ্রম। জলের পিপাসা যখন বেশি পায় তখন বিশাল মরুভূমিকে সামনে দেখেও আমাদের মনে হয় যেন বিশাল পুকুর।

এক ধরনের বিভ্রমকে বলা হয় মতিভ্রম বা মায়া। ইংরেজিতে একে বলে হ্যালুসিনেশন। এই মতিভ্রম যখন ঘটে তখন মনের উপর প্রবল চাপ সৃষ্টি হয়। ফলে আমরা যা দেখার নয়, তাই দেখি।

তাই, বিজ্ঞানীরা মনে করেন বাস্তবে ভূত পেত্নী বলে কিছু নেই। যা আছে তা পুরোটাই আমাদের মনের বিভ্রম।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: