দিল্লিতে এবার কাঠের সংকটে চিতায় জ্বলছে না আগুন

সময় ট্রিবিউন | ২৮ এপ্রিল ২০২১, ১৬:২১

ছবি: ইন্টারনেট

ভারতে ক্রমেই ভয়াবহ আকার ধারণ করছে করোনা পরিস্থিতি। অক্সিজেন সংকটের কারণে প্রতিদিন মৃত্যু হচ্ছে বহু মানুষের। শুধু দিল্লিতে করোনা আক্রান্ত হয়ে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা ৩৫০ এরও বেশী। অক্সিজেনের অভাবে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের দেহ সৎকার করার ক্ষেত্রেও হাজার বাধা বিপত্তি পার হতে হচ্ছে শোকস্তব্ধ আপনজন হারানো পরিবারগুলোকে।

এবার মৃত্যু হওয়ার পরও তাদের পরিজনের দেহ দাহ করার জন্য প্রয়োজনীয় কাঠেরও সংকট দেখা দিয়েছে দিল্লিতে। এ পরিস্থিতিতে মৃতদেহ দাহ করার কাঠ ফুরিয়ে গেছে বহু শ্মশানে। কাঠের অভাবে কেয়ারটেকারকে বাধ্য হয়ে বন্ধ করে দিতে হয়েছে শ্মশানের দরজা।

এতদিন একটি মৃতদেহ দাহ করতে অন্তত ১০ ঘণ্টা লাইনে থাকতে হচ্ছিল মৃতের পরিবারের সদস্যদের। এখন এতক্ষণ অপেক্ষা করেও শ্মশানে জায়গা পাওয়া যাচ্ছে না মৃত্যুপুরী দিল্লিতে। অস্থায়ীভাবে গড়ে তোলা শ্মশানে দাহ করার জন্য লোকও পাওয়া যাচ্ছে না এখন।

প্রতিবেদনে জানা গেছে, সাধারণত দিল্লিতে যত সংখ্যক মৃতের সৎকার হয়ে থাকে, তার থেকে বহুগুণ বেশি মৃতদেহ রোজ আসছে শ্মশান ও কবরস্থানে। গত ১০ দিনে এমনই ঘটনার সাক্ষী দিল্লি।

দিল্লির রাস্তায় লোক নেই। মন্দির, মসজিদ, গির্জাও সেভাবে ভর্তি নয়। জনসমাগম শুধুই হাসপাতালগুলোতে। আর সেখান থেকে বেরিয়ে আসা একের পর এক মরদেহ সৎকারে হয়রানি, ভোগান্তি সাধারণ মানুষের। এমনই দাবি করা হয়েছে বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমের রিপোর্টে।

করোনার জেরে শ্মশানের জন্য জমি বাড়াতে হচ্ছে দিল্লিতে। আরও ৫০টি নতুন প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা হয়েছে সৎকারের জন্য। অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্নে ছাড় পাচ্ছে না পার্কিং লটগুলো। দিল্লির গাজীপুরে এমনই পার্কিং লটে চিতা জ্বালানোর বন্দোবস্ত করা হচ্ছে। যে হারে করোনায় দিল্লিতে মৃত্যু মিছিল অব্যাহত রয়েছে, তাতে পরিস্থিতি ক্রমাগত ভয়াবহ হচ্ছে।

শুধু কবরস্থান নয়, মৃত্যুর চাপে একই পরিস্থিতি শ্মশানেও। সেখানেও চিতার আগুন নিভছে না। আরও চিতা রাখার জন্য জায়গা তৈরি করা হচ্ছে। সূত্র : এনডিটিভি


আপনার মূল্যবান মতামত দিন: