ইউক্রেন সীমান্ত থেকে সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণা রাশিয়ার

সময় ট্রিবিউন | ২৩ এপ্রিল ২০২১, ১৮:১৪

ছবি: ইন্টারনেট

সপ্তাহব্যাপী উত্তেজনার পর অবশেষে রাশিয়া ইউক্রেন সীমান্ত থেকে সৈন্য প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী সের্গেই শোইগু সেনাদের ঘাঁটিতে ফেরার নির্দেশ দেন।

ইউক্রেন সীমান্তে রাশিয়ার লাখো সেনা মোতায়েন নিয়ে সপ্তাহব্যাপী ইউক্রেন এবং পশ্চিমা দেশের সঙ্গে রাশিয়ার উত্তেজনা বিরাজ করছিল। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

পূর্ব ইউক্রেনে রুশ সমর্থিত সশস্ত্র বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর গত সাত বছরের অস্ত্রবিরতি ভেঙে যাওয়ার পর সম্প্রতি দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেড়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র ও তার ইউরোপীয় মিত্ররা ইউক্রেন সীমান্ত থেকে সেনা সমাবেশ প্রত্যাহারের জন্য ক্রেমলিনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। তবে ইউরোপ-আমেরিকার এমন আহ্বানে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন পুতিন।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের ধারণা, ২০১৪ সালে রাশিয়া দখল করে নেওয়া ক্রিমিয়া এবং ইউক্রেন সীমান্তে এক লাখ সেনা সমাবেশ ঘটিয়েছে। তবে বৃহস্পতিবার ক্রিমিয়ায় প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, মহড়ার জন্য যাওয়া সেনা ইউনিটগুলো ঘাঁটিতে ফেরত আসবে।তিনি বলেন, আকস্মিক পরীক্ষার লক্ষ্য অর্জিত হয়েছে।

রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, সেনা সদস্যরা দেশরক্ষায় নিজেদের যোগ্যতা প্রদর্শন করেছে। তিনি জানান, ৫৮তম থেকে ৪১তম সেনা ইউনিট কমান্ডারদের তিনি স্থায়ী ঘাঁটিতে ফিরে আসার নির্দেশ দিয়েছেন। শুক্রবার থেকে শুরু করে আগামী ১ মে’র মধ্যে সেনাদের ফিরে আসা সম্পন্ন হবে বলে জানান তিনি।

এর আগে বুধবার জাতির উদ্দেশে দেওয়া বার্ষিক ভাষণে পশ্চিমা দেশগুলোর প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ‘জাতীয় নিরাপত্তা’ ইস্যুতে সীমা অতিক্রম না করতে পশ্চিমা দেশগুলোকে সতর্ক করেন তিনি।পুতিন বলেন, রাশিয়ার রেড লাইন অতিক্রম করলে মস্কোর জবাব হবে ‘ত্বরিত ও ভয়াবহ।’

এছাড়া গত সপ্তাহে ইউক্রেনের সঙ্গে চলমান উত্তেজনার মধ্যেই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে ফোন করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। গত ১৩ এপ্রিল ওই টেলিফোনে বাইডেন ইউক্রেনের সঙ্গে উত্তেজনা নিরসনের জন্য চাপ দেন। এছাড়া পুতিনের সঙ্গে তৃতীয় কোনো দেশে সাক্ষাতেরও প্রস্তাব করেন তিনি।

রাশিয়ার সঙ্গে উত্তেজনার বিরাজের মধ্যে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কি তুরস্ক সফর করেন। এরপর তুরস্ক রাশিয়ার প্রতি উত্তেজনা কমানোর আহ্বান জানায়। এছাড়া ইউক্রেনের এই প্রেসিডেন্ট রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে সংঘাতপূর্ণ অঞ্চলে সাক্ষাতের আহ্বান জানান। সৈন্য প্রত্যাহারের ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছেন তিনি। সূত্র : আল জাজিরা, বিবিসি



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: