মালয়েশিয়ার পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন ইসমাইল সাবরি

সময় ট্রিবিউন | ১৯ আগষ্ট ২০২১, ২১:০৭

ছবি: ইন্টারনেট

মালয়েশিয়ার নবম প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন দেশটির সাবেক উপ-প্রধানমন্ত্রী ইসমাইল সাবরি ইয়াকুব। চলতি সপ্তাহের শুরুতে সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের পর তিনি পরবর্তী সরকার গঠনের অপেক্ষায় আছেন। দেশটির গণমাধ্যম এবং আইন প্রণেতারা বৃহস্পতিবার এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গত সোমবার (১৬ আগস্ট) প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ান মুহিউদ্দিন ইয়াসিন। সে সময় জোট থেকে সমর্থন হারানোর কথা স্বীকার করেন তিনি। তার ১৭ মাসের ক্ষমতায় দেশে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি এবং অর্থনৈতিক মন্দার কারণে দেশের রাজনীতিতে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

দ্য স্টার এবং অন্যান্য গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসমাইল সাবরি ২২২ আসনের পার্লামেন্টে ১১৪টি আসনে সংখ্যাগরিষ্ঠ সমর্থন পেয়েছেন। যে কোনো নতুন প্রধানমন্ত্রীকে পার্লামেন্টের আস্থা ভোটের মুখোমুখি করতে চান সাংবিধানিক রাজা বাদশাহ আল-সুলতান আবদুল্লাহ। তার মতে, এতে করে তাদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সমর্থন রয়েছে কীনা তা পরখ করা সম্ভব হয়।

ইসমাইল সাবরিকে সমর্থনকারী আইনপ্রণেতাদের সমর্থন যাচাই করার জন্য বৃহস্পতিবার বাদশাহর সঙ্গে দেখা করতে বলা হয়েছিল। বর্তমান ক্ষমতাসীন জোট সরকারের অন্যতম শরিক ও মালয়েশিয়ার বৃহত্তম রাজনৈতিক দল ইউনাইটেড মালয়স ন্যাশনাল অরগানাইজেশনের (ইউএমএনও) আইন প্রণেতা আহমেদ মাসলান বৃহস্পতিবার এক টুইট বার্তায় এ কথা বলেন। তিনি জানান, সেখানে মুহিউদ্দিনের জোটে থাকা একই রাজনৈতিক দলের সাংসদরাও থাকবেন।

তবে বিরোধী দল, যারা মূলত আনোয়ার ইব্রাহিমকে সমর্থন করেন তাদের প্রাসাদে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। বিরোধী আইনপ্রণেতা ওং কিয়ান মিং এক টুইট বার্তায় এ তথ্য জানান। শুক্রবার দেশের মালয় শাসকদের সঙ্গে সাক্ষাতের কথা রয়েছে রাজার। তারপরেই নতুন প্রধানমন্ত্রীর বিষয়ে সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হতে পারে।

২০২০ সালে মালয়েশিয়ার পার্লামেন্ট দেওয়ান রাকাইয়েতের সদস্যদের ভোটে জিতে দেশের প্রধানমন্ত্রীর পদে আসীন হয়েছিলেন মুহিউদ্দিন ইয়াসিন। তবে তার পক্ষে ও বিপক্ষে পড়া ভোটের ব্যবধান অল্প থাকায় নিজের পদ ধরে রাখতে সারাক্ষণ চাপে ছিলেন তিনি।

সম্প্রতি সেই চাপ আরও বেড়ে যায়। তার দলের কয়েকজন আইনপ্রণেতা ইউনাইটেড মালয়স ন্যাশনাল অরগানাইজেশনে যোগ দেন। এছাড়া করোনা মহামারি মোকাবিলায় ব্যর্থতা, স্বেচ্ছাচারিতা, মহামারি পরিস্থিতিতে অর্থনীতি পুনর্গঠনে সঠিক নির্দেশনা দিতে না পারা এবং অযৌক্তিকভাবে রাজাকে দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা ঘোষণার পরামর্শ দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে মুহিউদ্দিন ইয়াসিনের বিরুদ্ধে।

এছাড়া জুলাই মাসের শেষের দিকে তার পদত্যাগের দাবিতে মালয়েশিয়ায় বিক্ষোভ শুরু হয়। এর জের ধরে গত ৪ আগস্ট এক টেলিভিশন ভাষণে মুহিউদ্দিন ইয়াসিন ঘোষণা করেন, পার্লামেন্টের সদস্যরা তাকে দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মেনে নিতে প্রস্তুত কীনা তা যাচাই করতে আগামী সেপ্টেম্বরে দেওয়ান রাকাইতে আস্থাভোট চান তিনি। কিন্তু আস্থা ভোটের কথা থাকলেও তার আগেই পদত্যাগ করলেন মুহিউদ্দিন ইয়াসিন।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: