তাইওয়ান ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নীতিমালা

সময় ট্রিবিউন | ১১ এপ্রিল ২০২১, ২৩:২৪

ফাইল ছবি

তাইওয়ানের সাথে সম্পর্ককে উৎসাহিত করতে নতুন নীতিমালা প্রণয়ন করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। শুক্রবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র নেড প্রাইস এই তথ্য জানিয়েছেন। এদিকে, ওয়াশিংটনের এ সিদ্ধান্তকে চীনের জন্য বড় ধাক্কা বলে মনে করা হচ্ছে। খবর ইয়াহু নিউজের।

এক বিবৃতিতে নেড প্রাইস বলেন, তাইওয়ানের সাথে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সম্পর্ককে উৎসাহিত করতে নতুন নীতিমালা প্রণয়ন করেছে পররাষ্ট্র দপ্তর। যা উভয় দেশের মধ্যকার অনানুষ্ঠানিক সম্পর্কে আরো জোরদার করবে। নীতিমালায় তাইপেকে প্রাণবন্ত গণতন্ত্র এবং নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক দিক দিয়ে তাদের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে, যা আন্তর্জাতিক বিশ্বের জন্য ভালো।

এই নতুন নির্দেশিকা তাইওয়ানের সাথে যোগাযোগকে আরো প্রশস্ত এবং আমাদের অনানুষ্ঠানিক সম্পর্কে দৃঢ় করে। একইসঙ্গে চীন বিষয়ক এক নীতি কার্যকর করার ক্ষেত্রে স্পষ্টতা নিশ্চিত করে, যোগ করেন তিনি।

একইদিন এক সংবাদ সম্মেলনে হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র জেন সাকি বলেন, তাইওয়ানের বিরুদ্ধে চীনের আগ্রাসন গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে ওয়াশিংটন এবং বিষয়টি নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগামী সপ্তাহে নতুন আইন প্রণয়ন করতে যাচ্ছে মার্কিন আইনপ্রণেতারা। যেখানে চীনা কর্মকর্তাদের ওপর অতিরিক্ত নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হতে পারে। পাশাপাশি তাইওয়ানের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের গভীর সম্পর্কের বিষয়টিও সেখানে থাকবে।

দক্ষিন চীন সাগরের দ্বীপরাষ্ট্র তাইওয়ান দীর্ঘদিন ধরেই নিজেদের স্বাধীন বলে দাবি করে আসছে। কিন্তু চীন এখনো রাষ্ট্রটিকে তাদের অধীনে ভাবে। এমতাবস্থায় বেইজিংকে চাপে রাখতে তাইপের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলেছে ওয়াশিংটন।


আপনার মূল্যবান মতামত দিন: