পানির নিচে ৭৪ দিন, ইচ্ছা ১০০ দিনের রেকর্ড করা

সময় ট্রিবিউন ডেস্ক | ১৬ মে ২০২৩, ২১:২৫

সংগৃহীত

টানা ৭৪দিন পানির নিচে বসবাস করে বিশ্বরেকর্ড গড়েছেন ইউনিভার্সিটি অব সাউথ ফ্লোরিডার (ইউএসএফ) জোসেফ দিতুরি নামের এক প্রফেসর। তবে রেকর্ড হয়ে গেলেও, এখনই উপরে উঠছেন না তিনি। ১০০ দিনের রেকর্ড করে তবেই সূর্যের মুখ দেখবেন বলে ইচ্ছাপোষণ করেছেন তিনি। খবর বিবিসির।

ফ্লোরিডার কি লারগো এলাকায় সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৩০ ফুট গভীরে অবস্থিত জুল’স আন্ডারসি লজ। দাবি করা হয়, এটি যুক্তরাষ্ট্রে পানির তলদেশে একমাত্র হোটেল। সেখানেই থাকছেন প্রফেসর জোসেফ দিতুরি। হোটেলে ১ মার্চ থেকে থাকা শুরু করেন অধ্যাপক জোসেফ। তার এই প্রকল্পের নাম ‘নেপচুন ১০০’।

গত রোববার (১৪ মে ) এক টুইটে জোসেফ বলেছেন, আবিষ্কারের কৌতূহলই আমাকে এখানে নিয়ে এসেছে। প্রথমদিন থেকে আমার লক্ষ্য ছিল আগামী প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করা, সামুদ্রিক জীবন নিয়ে পড়াশোনা করা, বিজ্ঞানীদের সাক্ষাৎকার নেয়া এবং প্রতিকূল পরিবেশে মানবদেহ কীভাবে কাজ করে তা শেখা।

দীর্ঘদিন অতিরিক্ত চাপযুক্ত পরিবেশে মানবদেহ কেমন প্রতিক্রিয়া দেখায় তা নিয়ে গবেষণা করছেন জোসেফ। পানির নিচে থাকা অবস্থায় তিনি শুধু নিজের সম্পর্কেই শিখছেন না, বরং অনলাইনে বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ক্লাসও নিচ্ছেন।

ভিডিও সহ ফেইজবুকে দেখুন 

ইউএসএফের তথ্যমতে, জোসেফকে পরীক্ষা-নীরিক্ষার জন্য একটি মেডিকেল টিম নিয়মিত জুলস আন্ডারসি লজে যায়। সেখানে তার ব্লাড প্যানেল, আল্ট্রাসাউন্ড ও ইলেক্ট্রোকার্ডিওগ্রামের পাশাপাশি স্টেম সেল পরীক্ষাসহ একাধিক পরীক্ষা করা হয়। একজন মনোবিজ্ঞানী ও মনোরোগ বিশেষজ্ঞ দীর্ঘসময়ের জন্য বিচ্ছিন্ন ও সীমাবদ্ধ পরিবেশে বসবাসের মানসিক প্রভাবগুলো নথিভুক্ত করছেন।

পানির নিচে জোসেফ:

জোসেফ রোজ ভোর ৫টায় ঘুম থেকে উঠে ব্যায়াম করেন। তার খাদ্যতালিকায় থাকে ডিম-স্যালমন মাছসহ নানা ধরনের প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার। রান্নাবান্নার জন্য তার কাছে একটি মাইক্রোওয়েভ ওভেনও রয়েছে।

অবশ্য পানির নিচে এই ৭৪ দিন পুরোপুরি একা ছিলেন না প্রফেসর জোসেফ। এই সময়ের মধ্যে ৩০ জন প্রাপ্তবয়স্ক এবং ১৫ জন মিডল ও হাইস্কুল শিক্ষার্থী লজে গিয়ে তার সঙ্গে সময় কাটিয়েছেন। জোসেফ আগামী ৯ জুন উপরে উঠে আসবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

এর আগে পানির নিচে সবচেয়ে বেশি সময় থাকার রেকর্ড ছিল দুই অধ্যাপকের। ২০১৪ সালে এই কি লার্গোর জুল হোটেলেই তারা রেকর্ডটি গড়েন।

সাবমেরিনের মতো দেখতে এই হোটেলে পানির নিচের বাড়তি চাপ সমন্বয়ের ক্ষেত্রে কোনো প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয় না। জুল হোটেলের নামকরণ করা হয়েছে কল্পবিজ্ঞান লেখক জুল ভার্নের নামানুসারে। সূত্র : বিবিসি

এসটি/এসকে 


আপনার মূল্যবান মতামত দিন: