অরুণাচলে অনুষ্ঠিত জি-২০ সম্মেলনে অংশ নেয়নি চীন

সময় ট্রিবিউন ডেস্ক | ২৭ মার্চ ২০২৩, ২২:২৯

সংগৃহীত

ভারতের অরুণাচল প্রদেশের রাজধানী ইটানগরে বিশ্বের বৃহৎ অর্থনীতির দেশগুলোর নিয়ে গঠিত জি-২০ জোটের দুই দিনের সম্মেলনে অংশ নেয়নি চীন।

গত ২৫ ও ২৬ মার্চ এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এবারের সম্মেলনে র শিরোনাম ‘জি ২০ রিসার্চ ইনোভেশন ইনিশিয়েটিভ গ্যাদারিং’। সম্মেলনের উদ্যোক্তা ছিল ভারত সরকারের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়।

অরুণাচলে সম্মেলন করার বিরুদ্ধে চীন আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানিয়েছিল কি না, সে বিষয়ে ভারত সরকারের দিক থেকে কিছু বলা হয়নি। তবে, সম্মেলনে অনুপস্থিত থাকার বিষয়ে চীনও কোনো কারণ দেখায়নি।

বিশ্বের বৃহৎ অর্থনীতির দেশগুলোর এই জোটের অন্যতম সদস্য চীন। দেশটি কেন অরুণাচলের সম্মেলনে যোগ দেয়নি, সেই ব্যাখ্যা ভারত সরকার দেয়নি।

ভারত সরকার সূত্র জানায়, বিভিন্ন দেশের অর্ধশতাধিক প্রতিনিধি দুই দিনের সম্মেলনে অংশ নেন। কিন্তু চীনের কোনো প্রতিনিধি সম্মেলনে ছিলেন না। সম্মেলনের পর প্রতিনিধিরা অরুণাচল প্রদেশের বিধানসভা ভবন পরিদর্শন করেন। তারা ইটানগরের একটি বৌদ্ধমঠও ঘুরে দেখেন।

গত বছরের ডিসেম্বর থেকে জি-২০ জোটের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছে ভারত। এক বছর মেয়াদি এই দায়িত্ব পাওয়ার পরই ভারত আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়ে দিয়েছিল, দেশের ২৮ রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত ৮ অঞ্চলের সর্বত্র জি-২০ জোটের বিভিন্ন সম্মেলন করা হবে। সেই ঘোষণা অনুযায়ী, ২৫ ও ২৬ মার্চ অরুণাচল প্রদেশে সম্মেলন হলো।

সম্মেলনে কী কী বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে, আলোচনা থেকে কী বেরিয়ে এল, তা প্রকাশ করা হয়নি। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, সম্মেলনের তথ্য সংগ্রহের অনুমতি গণমাধ্যমকর্মীদের ছিল না।

প্রসঙ্গত, অরুণাচল প্রদেশ নিয়ে ভারত-চীনের বিবাদ দীর্ঘদিনের। চীন মনে করে, অরুণাচল প্রদেশ দক্ষিণ তিব্বতের অংশ। ভারতের বক্তব্য, অরুণাচল প্রদেশ তার অবিচ্ছেদ্য অংশ।

চলতি মাসের শুরুর দিকে নয়াদিল্লিতে জি-২০ জোটভুক্ত দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সম্মেলন হয়। সেই সম্মেলনে অবশ্য চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিন গ্যাং যোগ দিয়েছিলেন।

আগামী মে মাসে জম্মু-কাশ্মীরে আরেকটি সম্মেলন হওয়ার কথা। আগামী সেপ্টেম্বরে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে জি-২০ জোটের শীর্ষ সম্মেলন বসবে।

জম্মু-কাশ্মীরের রাজধানী শ্রীনগরে জি-২০ জোটের যে সম্মেলনটি হওয়ার কথা, তার আলোচ্য বিষয় ‘সংস্কৃতি’। এই সম্মেলনে কারা যোগ দেবে, আর কারা দেবে না, তা এখনো নিশ্চিত নয়।

জম্মু-কাশ্মীরে যাতে জি-২০ জোটের সম্মেলন না হয়, সে জন্য পাকিস্তান তৎপর রয়েছে। ‘বিতর্কিত’ স্থানে জি-২০ সম্মেলন না করতে ভারতের ওপর চাপ সৃষ্টির জন্য জোটের সদস্য চীন, সৌদি আরব ও তুরস্কের সঙ্গে যোগাযোগ চালিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান। পাকিস্তান মনে করে, প্রস্তাবিত স্থানে সম্মেলনটি হলে জম্মু-কাশ্মীরের ওপর ভারতের দাবি প্রতিষ্ঠায় তা সহায়ক হবে।

এসটি/এসকে


আপনার মূল্যবান মতামত দিন: