পাকিস্তান 'দেউলিয়া রাষ্ট্র' : দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৩, ০৬:১৫

সংগৃহীত

নজিরবিহীন অর্থনৈতিক সংকটে ভুগতে থাকা পাকিস্তানকে ‘দেউলিয়া রাষ্ট্র’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ।

শনিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) পাঞ্জাবের সিয়ালকোটের একটি কলেজে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, পাকিস্তান এরই মধ্যে অচল হয়ে পড়েছে। আর এজন্য সেনাবাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে দোষারোপ করে প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ।

অনুষ্ঠানে এই মন্ত্রী বলেন, আপনারা হয়তো সবাই জানেন পাকিস্তান দেউলিয়া হতে বসেছে, অচল হয়ে পড়েছে। এমন দুর্দশাই আসলে তৈরি হয়েছে। আমরা এখন দেউলিয়া রাষ্ট্রে বাস করছিে আজকের এই দুর্দশার জন্য এস্টাবলিশমেন্ট, আমলাতন্ত্র, রাজনীতিসহ সবাই দায়ী।

গণমাধ্যমের বরাতে জানা যায়, ‘সংকটাপন্ন’ পাকিস্তানের বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ কমে ৩ বিলিয়ন (৩০০ কোটি) ডলারের নিচে নেমে এসেছে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশটির কাছে সঞ্চিত এ বৈদেশিক মুদ্রা দিয়ে দুই সপ্তাহের কিছু বেশি সময়ের আমদানি ব্যয় মেটানো যাবে।

রিজার্ভ আশঙ্কাজনক হারে কমে যাওয়ার ফলে পাকিস্তানের ঋণখেলাপি হওয়ার ঝুঁকি বাড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছ থেকে অর্থনৈতিক সহায়তা প্যাকেজের অর্থ পেতে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে ইসলামাবাদ। যদিও এখনো কোনো চুক্তিতে পৌঁছাতে পারেনি দুই পক্ষ।

আইএমএফের দ্বারস্থ হওয়ার প্রসঙ্গ টেনে খাজা আসিফ বলেন, কোনো দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য দেশটির নিজের পায়ে দাঁড়ানো উচিত। আমাদের বর্তমান সমস্যার সমাধান এই দেশেই আছে। পাকিস্তানের সমস্যার সমাধান আইএমএফের কাছে নেই।

পাকিস্তান এখন সংকটে যে খাবি খাচ্ছে, এজন্য গত সাত দশকে সেখানে আইন ও সাংবিধানিক শাসনের অপ্রতুলতাকে দায়ী করেন খাজা আসিফ। এসময় পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের নেতৃত্বাধীন পিটিআই সরকারেরও সমালোচনা করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী।

গত কয়েক মাস ধরেই আর্থিক সংকটে ন্যুব্জপ্রায় পাকিস্তান। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম পাল্লা দিয়ে বাড়ছে। প্রতিদিনই অন্তত ৩০-৪০ রুপি করে বাড়ছে খাবারের দাম। সেখানে এখন মুরগির মাংসের কেজি ৭০০-৮০০ রুপি। হাড় ছাড়া মাংসের দাম আরও চড়া। ১০০০-১১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি লিটার খোলা দুধের দাম ২১০ পাকিস্তানি রুপি। প্যাকেটজাত দুধের দাম প্রায় ২৩০ রুপি।

পাকিস্তান পরিসংখ্যান ব্যুরো প্রকাশিত তথ্য অনুসারে, দেশটিতে জানুয়ারি মাসে মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ২৭ দশমিক ৫৫ শতাংশ, যা গত ৪৮ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। ১৯৭৫ সালের মে মাসের পরে এটাই দেশটিতে মূল্যস্ফীতির সর্বোচ্চ হার।

এমএএম/



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: