অতিমারি করোনাভাইরাসে দেশে মৃত্যুর সবশেষ

সময় ট্রিবিউন | ১২ জুলাই ২০২১, ১৯:২৯

করোনা রোগীকে হাসপাতালে এনেছেন স্বজনরা-ছবি: সংগৃহীত

বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া অতিমারি করোনাভাইরাসের তৃতীয় ঢেউ ছড়িয়ে পড়েছে গ্রামাঞ্চলেও। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসছে মৃত্যুর খবর। করোনা নিয়ন্ত্রণে দেশব্যাপী চলছে কঠোর লকডাউন। তবে এ লকডাউনেও থামানো যাচ্ছে না আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার। পরিস্থিতির ভয়াবহতায় উচ্চঝুঁকিতে ময়মনসিংহ, বরিশাল, রাজশাহী, খুলনা, কুষ্টিয়া, টাঙ্গাইল ও সাতক্ষীরা জেলা। রোগীর চাপ সামলাতে দিশেহারা হাসপাতালগুলো। তৈরি হয়েছে শয্যা ও অক্সিজেন সংকট। এরই মধ্যে সোমবার (১২ জুলাই) সারা দেশে ১৬৬ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। রোববার (১১ জুলাই) সকাল ৮টা থেকে সোমবার (১২ জুলাই) সকাল ৮টা পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যান তারা।

নিচে সারাদেশে গত ২৪ ঘন্টায় করোনায় মৃত্যুর সবশেষ তুলে ধরা হলো-

রাজশাহী:

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় রাজশাহীতে ১৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়। গত ২৪ ঘণ্টায় যে ১৪ জন মারা গেছেন এদের মধ্যে পাঁচজনের বাড়ি রাজশাহী জেলায়। এ ছাড়া নাটোরের চারজন, নওগাঁর দুজন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ‍দুজন এবং পাবনার একজন মারা গেছেন।  করোনা সংক্রমণ ও উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে এসেছিলেন তারা।

ময়মনসিংহ:

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে ৬ জন করোনা রোগী এবং ১১ জন উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

বরিশাল:

বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন ১৯ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ওয়ার্ডে ভর্তি হয়েছেন ৪৭ জন। এর মধ্যে ১২ জন পজিটিভ। বর্তমানে এখানে চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা ৩০৭ জন। এর মধ্যে পজিটিভ ৭৭ জন।

খুলনা:

খুলনার চারটি হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন ১৭ জন। এর মধ্যে করোনা ১৩০ শয্যার ডেডিকেটেড হাসপাতালে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন পাঁচজন এবং উপসর্গ নিয়ে পাঁচজন। খুলনা সদর হাসপাতালে মারা গেছেন তিনজন। আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালে একজন এবং বেসরকারি গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল তিনজন মারা গেছেন। এদের মধ্যে খুলনা জেলার রয়েছে ১১ জন। এ ছাড়া যশোর ও বাগেরহাট জেলার একজন করে মারা গেছেন।

কুষ্টিয়া:

কুষ্টিয়ায় গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ও এর উপসর্গ নিয়ে আরও ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে ৮ জন করোনা শনাক্ত ছিলেন, বাকি ৬ জনের করোনার উপসর্গ ছিল। এ ছাড়া ২৪ ঘণ্টায় আরও ২৭৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এক হাজার ২৭ জনের নমুনা পরীক্ষায় আগের দিনের চেয়ে শনাক্তের হার আরও এক কমে ২৬ দশমিক ৯৭ শতাংশ হয়েছে।

টাঙ্গাইল:

টাঙ্গাইলে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ও উপসর্গ নিয়ে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ৫ জন করোনা আক্রান্ত হয়ে এবং ৯ জন উপসর্গ নিয়ে মারা যান। ৭৩১টি নমুনা পরীক্ষা করে নতুন আক্রান্ত ২০৭ জন। শনাক্তের হার ২৮ দশমিক ৩৩ শতাংশ।

বগুড়া:

বগুড়ায় গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা এবং করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন ১৪ জন। এদের মধ্যে বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে ৭ জন, শহীদ জিয়াতে ৬ জন এবং এবং টি এম এস হাসপাতালে একজনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতরা বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, জয়পুরহাট এবং নওঁগা জেলার বাসিন্দা।

ফরিদপুর:

গত ২৪ ঘণ্টায় ফরিদপুর পিসিআর ল্যাবে ৩৫৬ নমুনা পরীক্ষার মধ্যে শনাক্ত হয়েছে ১৫১ জন। এই সময়ে করোনায় ও উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন ৯ জন। এদের মধ্যে করোনা শনাক্ত হয়ে ২ জন এবং উপসর্গ নিয়ে ৭ জন মারা গেছেন।

চট্টগ্রাম:

চট্টগ্রামে করোনা আক্রান্ত হয়ে গত চব্বিশ ঘণ্টায় ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।

রংপুর:

২৪ ঘণ্টায় রংপুরে করোনায় ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এসময় আক্রান্ত হয়েছেন ১১৬ জন।

চুয়াডাঙ্গা:

চুয়াডাঙ্গায় করোনা ও উপসর্গ নিয়ে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।

সাতক্ষীরা:

সাতক্ষীরা মেডিকেলে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা উপসর্গ নিয়ে ৬ জনের মৃত্যু।

ঝিনাইদহ:

ঝিনাইদহে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এসময় নতুন আক্রান্ত ৯০ জন।

নাটোর:

নাটোর সদর হাসপাতালে ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ৪ জন। এর মধ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৩ জন ও উপসর্গ নিয়ে একজন মারা যান।

নেত্রকোনা:

নেত্রকোনায় ২৪ ঘণ্টায় করোনায় ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এসময় নতুন শনাক্ত হয়েছেন ৯৩ জন।

এছাড়া, করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সিলেটে ২ জন, কি‌শোরগ‌ঞ্জে ২ জন, কুড়িগ্রামে একজন এবং পঞ্চগড়ে একজন মারা গেছেন।

আরও আসছে…


আপনার মূল্যবান মতামত দিন: