দিনে কিছুটা গরম, রাতে হালকা ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে শরীর খারাপ হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে। এই সময় ঘরে ঘরে সর্দি-কাশির মতো রোগে ভুগছেন ছোট-বড় সকলে। যাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, তাদের আরও বেশি সমস্যা হতে পারে। তবে একটু সচেতন হলেই নিজেকে সুস্থ রাখা সম্ভব।
আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার কিছু ঘরোয়া প্রতিকার রয়েছে। শীতে নিজেকে সুস্থ রাখতে গেলে কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে। যেমন-
১. এই সময় ঠান্ডালাগা থেকে নিজেকে রক্ষা করতে হলে শীত পড়তে শুরু করলেই প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। সচেতন ভাবে গরম জামা-কাপড় পরতে হবে। বেশিরভাগ সময়ই মানুষ মনে করে, এখনও তেমন শীত পড়েনি। অথবা, অনেকেই নিজের ঠান্ডা লাগলেও লোকলজ্জায় গরম জামা পরেন না। এই সময় অল্প শীত পড়লেও তা শরীরের জন্য ক্ষতিকর। তাই সম্পূর্ণ গরম পোশাক পরেই বাইরে বেরতে হবে।
২. শীতকালে খাদ্যাভ্যাসেরও যত্ন নিতে হবে। সর্দি-কাশি প্রতিরোধে কিছু পরামর্শ মেনে চললেই শরীর সুস্থ রাখা সম্ভব। এই সময় একটু গরম খাবার খাওয়া প্রয়োজন। নিয়মিত খাদ্যাভ্যাসে রসুন ও গোল মরিচ ব্যবহার করা দরকার।
৩. সর্দি হলে তুলসি পাতার রস ও মধু মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে। বয়স্ক ব্যক্তিরা প্রয়োজনে ১০-২০টি তুলসি পাতা পানিতে সিদ্ধ করে একটি ক্বাথ তৈরি করে খেতে পারেন। ভালোভাবে সিদ্ধ করে প্রায় এক কাপ ক্বাথ তৈরি হয়ে যাবে।
৪. যদি ডায়াবেটিস না থাকে তবে এই ক্বাথে সামান্য ঘি মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে। এই ঘরোয়া উপায়গুলি ব্যবহার করে সর্দি-কাশি নিরাময় করা যায়। তবে মনে রাখতে হবে, যেকোনও রোগের জন্য সবার আগে একজন চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নেওয়াই ভাল।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: