ইবি শিক্ষার্থীদের মেধাবৃত্তির টাকা প্রদানে গড়মিল!

সময় ট্রিবিউন | ২৮ আগষ্ট ২০২১, ০৫:০১

ছবি : ইন্টারনেট

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) শিক্ষার্থীদের মেধাবৃত্তির টাকা প্রদানে গড়মিলের অভিযোগ উঠেছে। হিসেব অনুযায়ী প্রাপ্ত টাকার এক তৃতীয়াংশ কম টাকা পেয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তারা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, একাডেমিক ফলাফলের উপর ভিত্তি করে প্রতিবছর প্রত্যেক বিভাগের সকল বর্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান করে থাকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এতে মেধাক্রম অনুযায়ী দুই ক্যাটাগরিতে মোট ছয়জনকে বৃত্তি দেয়া হয়। সর্বোচ্চ নম্বর প্রাপ্ত প্রথম তিনজনকে মেধাবৃত্তিতে প্রতি মাসে ১৫০ টাকা করে বছরে ১৮০০ টাকা দেয়া হয়। বাকি তিনজনকে সাধারণ বৃত্তিতে মাসপ্রতি ১০০ টাকা করে বছরে ১২০০ টাকা দেয়া হয়।

তবে সর্বশেষ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এ বৃত্তির টাকা বৃদ্ধি করেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এতে উভয় ক্যাটাগরিতে মাসপ্রতি ৫০ টাকা বৃদ্ধি করে মেধাবৃত্তিতে ২০০ ও সাধারণ বৃত্তিতে ১৫০ টাকা করা হয়েছে। ফলে সর্বশেষ সিদ্ধান্ত অনুযায়ি গত মার্চ মাসে বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের তালিকা চেয়ে বিভাগে নোটিশ পাঠিয়েছিলেন কর্তৃপক্ষ।

নোটিশ অনুযায়ী বিভাগ কর্তৃক তালিকা পাঠানো হলে তা পর্যবেক্ষণ শেষে গতকাল (বৃহস্পতিবার) মোবাইল ব্যাংকিং এ শিক্ষার্থীদের মাঝে টাকা পাঠানো হয়। তবে এতে পূর্বের সিদ্ধান্তের আলোকে টাকা দেয়া হয়। এনিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা।

তাদের দাবি, নতুনভাবে টাকা বৃদ্ধি করার পরও কেন পূর্বের আলোকে টাকা দেয়া হবে? এমনিতে টাকা বৃদ্ধি করার পরও একজন শিক্ষার্থীর মাসে ১৫০ বা ২০০ টাকা যথেষ্ট নয়। সেই জায়গায় আবার আগের হিসেব মতো কম টাকা দেয়া হলো। যা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। সেই সাথে কখনো সময়মতো বৃত্তির টাকা পাননি বলেও অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীরা।

এ বিষয়ে বৃত্তি শাখার সহকারী রেজিস্ট্রার ইনামুল কবির বলেন, এবার আগের নিয়মে টাকা দেওয়া হয়েছে। নতুন করে বাড়ানোর পর এটি এখনো কার্যকর হয়নি। পরবর্তী সেশন (২০১৭-১৮) থেকে কার্যকর হবে। তবে এবার বিভাগসমূহে ভুলবশত নতুন কার্যকর হওয়ার নোটিশটি পাঠানো হয়েছে। যার কারণে শিক্ষার্থীরা ভুল তথ্য পেয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক শাখার প্রধান এ. টি. এম. ইমদাদুল আলম জানান, প্রশাসন যে টাকা দিবে একাডেমিক শাখা সে টাকা শিক্ষার্থীদের অবশ্যই দিবে। বিষয়টি হয়তো কোথাও ভুল হয়েছে, কালকে অফিসে গিয়ে খোঁজ নিব।


আপনার মূল্যবান মতামত দিন: