শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে যা বললেন শিক্ষামন্ত্রী

সময় ট্রিবিউন | ২৭ আগষ্ট ২০২১, ২২:৩৫

ফাইল ছবি

আগামী অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়ে বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়া হবে বলে নিশ্চিত করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা দীপু মনি। শুক্রবার (২৭ আগস্ট) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন ও কর্ম নিয়ে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়োজনে এক আলোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

শিক্ষামন্ত্রী দিপু মনি বলেন, আমরা আলাপ আলোচনা করছি, আমরা অবস্থা পর্যবেক্ষণ করছি, আমরা বিশেষজ্ঞদেও সাথেও কথা বলছি। গতকালই প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়, আমাদের সকল বিশেষজ্ঞ, আমাদের কোভিড-১৯ এর জাতীয় পরামর্শক কমিটি, টেকনিক্যাল কমিটি এবং আমাদের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের সঙ্গে, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এসোসিয়েশন ও শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনকে নিয়ে একটি যৌথ মিটিং করা হয়েছে। আমরা সেখানে কি করে আগামী এক মাসের মধ্যে যত দ্রুত সম্ভব যাদের বয়স ১৮ এর বেশি, যারা বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে রয়েছে তাদের টিকা নিশ্চিত করা। টিকা প্রাপ্তির দুই সপ্তাহ পরে অর্থাৎ অক্টোবর এর মাঝামাঝি সময়ে আমরা আশা করছি বিশ্ববিদ্যালয় গুলো খুলে দিতে পারবো।

স্কুলগুলো খোলার বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বিজ্ঞানসম্মত ভাবে বলা হয় যে, শতকরা ৫ ভাগ বা তার নিচে নামলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা যায়। কিন্তু আমাদের এখানে অত্যন্ত ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা এবং আমাদের শিক্ষার্থীরাও স্বল্প পরিসরে অনেকের সঙ্গেই বসবাস করছেন। তারপর দীর্ঘদিন যাবত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে, শারীরিক এর সাথে তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়টিও রয়েছে, এমন নানান রকম সমস্যা আছে। সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে জাতীয় পরামর্শক কমিটির সাথে আবারও আমরা সামনের সপ্তাহে বসবো এবং বিশেষজ্ঞদের মতামতের ভিত্তিতে সংক্রমণের হার ঠিক কত শতাংশে নামলে বড় ঝুঁকি না নিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে পারবো, আমরা সেই পর্যায়ে নেমে আসার জন্য অপেক্ষা করবো।

মোবাইলে গেমসের বিষয়ে তিনি বলেন, প্রযুক্তির ভালোর সাথে মন্দও কিছু থাকে। শুধু এই সময়ের জন্য নয়, মোবাইল এখন জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে গিয়েছে। সেক্ষেত্রে শিক্ষকরা যেমন দেখবেন তেমনি বাবা মায়ের তদারকিটাও খুব জরুরি। কেননা একটা বড় সময় শিক্ষার্থীরা বাড়িতে কাটান। মোবাইলের মাধ্যমে পড়াশোনা বা অন্য ডিভাইসের মাধ্যমে পড়াশোনা, এটাও এখন বাস্তবতা। এটাকেও এখন মেনে নিতে হবে।

তিনি আরো বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের শ্রেণি কক্ষে ফিরিয়ে নিলেও অনলাইন পদ্ধতি কিন্তু থাকবে। কাজেই এটা এমন হয় যে শ্রেণি কক্ষে চলে গেলে আমাদের আর কোনো ডিভাইসের ব্যবহার থাকবে না, তা কিন্তু নয়। এখন এই চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সময় আসছে, সেখানে ডিজিটাল লার্নিং এখন আমাদের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়েই যাবে। কাজেই সেখানে কি করে শিক্ষার্থীদেরকে এই ডিজিটাল ডিভাইসের যে নেতিবাচক দিক আছে তা থেকে কিভাবে তাদের মুক্ত রাখবো, সেক্ষেত্রে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের যেমন দায়িত্ব আছে, তেমনি অভিভাবকদের ও একটা বিরাট দায়িত্ব আছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকুক বা না থাকুক সে দায়িত্ব তো অভিভাবকদের পালন করতে হবে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: