শ্রেষ্ঠ জয়িতা সম্মাননা পেলেন জাবি শিক্ষক সুলতানা

জাবি প্রতিনিধি | ৯ ডিসেম্বর ২০২৩, ২০:৩৩

শ্রেষ্ঠ জয়িতা সম্মাননা পেলেন জাবি শিক্ষক সুলতানা
সফল নারী হিসেবে শিক্ষা ও চাকরি ক্যাটাগরিতে শ্রেষ্ঠ জয়িতা সম্মাননা পেলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ইতিহাস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সুলতানা আক্তার। 
 
রোকেয়া দিবস ও জয়িতা অন্বেষণে বাংলাদেশ শীর্ষক প্রচারাভিযানের অংশ হিসেবে মানিকগঞ্জ জেলার শ্রেষ্ঠ জয়িতার সম্মাননা পান তিনি। আজ শনিবার জেলা প্রশাসন ও মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের আয়োজনে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানে তার হাতে সম্মাননা স্মারক ও সনদ তুলে দেন মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসক রেহেনা আকতার। 
এরআগে সকাল সাড়ে দশটায় উপজেলা পর্যায়ে শিবালয় উপজেলার শ্রেষ্ঠ জয়িতা হিসেবে সম্মাননা পান তিনি।  
 
সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে সুলতানা আক্তার বলেন, 
একজন শিক্ষিত মা একটি শিক্ষিত জাতির রূপকার। তাই উচ্চশিক্ষিত জাতি হিসেবে গড়ে তোলার জন্য নারীকে সকল প্রতিবন্ধকতা মোকাবেলা করে সামনে এগিয়ে যেতে হবে এবং এক্ষেত্রে নারীদের সহযোগিতার জন্য পুরুষদেরও এগিয়ে আসতে হবে।
 
তিনি আরও বলেন, নারী শিক্ষার উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নে বর্তমান সরকার বিশেষ কর্মসূচী হাতে নিয়েছে। সমাজের পিছিয়ে থাকা নারীদের জন্য আমি আজীবন নিরলসভাবে কাজ করে যাব এবং একটি উচ্চশিক্ষিত মানবিক সমাজ গঠনের জন্য আমার চেষ্টা অব্যাহত রাখবো।
 
সুলতানা আক্তার ১৯৮৬ সালের ১৫ এপ্রিল মানিকগঞ্জ জেলার শিবালয় উপজেলার ছোট শাকরাইল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা শেষে জাবির ইতিহাস বিভাগে ভর্তি হন। ২০০৮ সালে ইতিহাসে স্নাতক (সম্মান) এবং ২০০৯ সালে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী লাভ করেন। উভয় পরীক্ষায় তিনি প্রথম শ্রেনিতে প্রথম স্থান লাভ করে 
২০১১ সালে ইতিহাস বিভাগে প্রভাষক পদে যোগদান করেন।  বর্তমানে তিনি সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত আছেন।
 
তিনি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় চার নেতা এবং স্থানীয় ইতিহাসসহ বিভিন্ন বিষয়ে গবেষণা করেন। বিভিন্ন গবেষণা জার্নালে তার গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। তিনি ২০১৯ সালের জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগ থেকে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। 
 
সুলতানা আক্তার বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটির সদস্য এবং বাংলাদেশ ইতিহাস সমিতি, বাংলাদেশ ইতিহাস সম্মিলনী, বাংলাদেশ ইতিহাস একাডেমি ও বাংলাদেশ ইতিহাস পরিষদের জীবন সদস্য। তিনি বাংলাদেশ ইতিহাস পরিষদ, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সেমিনারে অংশগ্রহণ এবং সেমিনারে প্রবন্ধ পাঠ করেছেন। শিক্ষকতার পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন সামাজ সেবামূলক সংগঠনের সাথে জড়িত এবং ছাত্রদের কল্যাণের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। 
 
তিনি স্বপ্ন দেখেন, সমাজের সকল প্রতিবন্ধকতা মোকাবেলা করে নারীরা শিক্ষা-দীক্ষায় এগিয়ে যাবে। একটি শিক্ষিত জাতি হিসেবে বাঙালিরা বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে। 


আপনার মূল্যবান মতামত দিন: