এএসএমই ই-ফেস্টে চুয়েট শিক্ষার্থীদের প্রশংসনীয় সাফল্য

তাসনিয়া মাসিয়াত, চুয়েট | ২৯ এপ্রিল ২০২১, ২২:৪৮

ছবিঃ সংগৃহীত

আমেরিকান সোসাইটি অব মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারর্স (এএসএমই) কর্তৃক আয়োজিত "এএসএমই ই-ফেস্ট ডিজিটাল ২০২১" এ চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) শিক্ষার্থীদের দুইটি দল অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করেছে।

প্রকৌশল বিশ্বের অন্যতম মান নির্ধারণকারী এবং পেশাদার সংস্থা আমেরিকান সোসাইটি অব মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারর্স (এএসএমই) বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে থাকে। কিন্তু মহামারী করোনার কারণে গতবারের মতো এবারো ভার্চুয়াল মাধ্যমে এই অনুষ্ঠানটি আয়োজিত হয়েছে।

এবারের ই-ফেস্টের এনভায়োর্নমেন্টাল সিস্টেম ডিভিশান কম্পিটিশনে বৈশ্বিক চ্যাম্পিয়ন হয় 'এনভি-চুয়েট' নামক একটি দল। এই দলের সদস্যরা হলেন চুয়েটের যন্ত্রকৌশল বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মোঃ মাহাদী হাসান ও দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মোঃ ফাহিম হোসাইন। তারা দেখিয়েছেন কিভাবে ঢাকা শহরের বর্জ্যগুলোর সঠিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে তা থেকে শক্তি উৎপন্ন করা যায়। প্রোগ্রামেবল লজিক কন্ট্রোলার (পিএলসি) দ্বারা প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে এবং প্রতিযোগীরা আশা করেন এর মাধ্যমে ঢাকা শহরের মতো দূষিত শহরগুলোকেও সবুজ শহরে রূপান্তর করা সম্ভব।
পুরষ্কার হিসেবে তারা পাবেন আড়াইশ মার্কিন ডলার।

অপরদিকে এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের দেশগুলো- বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, সিংগাপুর, ইন্দোনেশিয়া সহ আরও অনেক দেশের শতাধিক প্রতিযোগী দলের সাথে যন্ত্রকৌশল বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী তৌকির আহমেদ চৌধুরী, আহমেদ আবদুল্লাহ মুজাহিদ এবং মোঃ বায়েজিদ আহমেদ এর আরেকটি দল প্রতিনিধিত্ব করে এবং ডিজাইন সাবমিশন চ্যালেঞ্জে ২য় স্থান অর্জন করে।

তারা একটি স্মার্ট বাকেট উদ্ভাবন করেন যেটি নবায়নযোগ্য শক্তির উৎসকে কাজে লাগিয়ে পানির অপচয় রোধ করে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে গাছের পরিচর্যা ও সেচ প্রদান করতে পারে। তারা দাবি করেন তাদের উদ্ভাবিত পদ্ধতিটি প্রয়োগে পানির অপচয় কমানোসহ সবুজ শহর গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

তাদের এই সাফল্যে চুয়েটের শিক্ষক শিক্ষার্থীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অভিবাদন জানাচ্ছেন।

এছাড়া বিজয়ীদের অভিবাদন জানিয়ে এ.এস.এম.ই চুয়েট স্টুডেন্ট চ্যাপ্টারের সভাপতি মুসতাহসিন রিয়াসাদ বলেন, " ই-ফেস্টের মতো আন্তর্জাতিক একটি প্রতিযোগিতায় চুয়েট শিক্ষার্থীদের ঈর্ষণীয় সাফল্যে আমরা সকলেই গর্বিত ও অভিভূত। আমরা সকলেই আশা করি এভাবেই সমগ্র বিশ্বে চুয়েটের মেধাবী শিক্ষার্থীরা তাদের মেধা ও সৃজনশীলতার পরিচয় রেখে যাবে।"



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: