নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করার পর থেকেই তীব্র সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। বিবাহিত, অছাত্র, মাদকসেবি ও বিএনপি-জামায়াত পরিবারের অনেকেই কমিটিতে গুরুত্বপূর্ণ পদে এসেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ছাত্রলীগের মত একটি গুরুত্বপূর্ণ সংগঠনে এমন অনিয়মের কারণে বিব্রত খোদ কেন্দ্রীয় কমিটি।
জানা গেছে, উপজেলা কমিটির সভাপতি তানজির হাসান খাঁন বিবাহিত। চলতি বছরের ২৭ জানুয়ারি তিনি সন্তানের বাবা হন যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এছাড়াও সহ সভাপতি ইমন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক এহসান খান, আরিফুল ইসলাম, সহ সম্পাদক ফাহিম, সদস্য আরিফসহ আরও কয়েকজন বিবাহিত।
এছাড়াও সাধারণ সম্পাদক মাসুম ভূইয়ার মাদক সেবনের একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে যা নিয়ে চলছে তীব্র সমালোচনা। অন্য একটি ভিডিওতে রূপগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মাসুম ভূইয়া কাওকে গুলি করে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছিলেন। অস্ত্রের বৈধতার ব্যপারে প্রশ্ন করা হলে তিনি এ প্রতিবেদকে বিষয়টি এড়িয়ে যেতে বলেন।
তাছাড়া, উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক-সাংগঠনিক সম্পাদকসহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদধারী নেতার বিএনপি জামাত সম্পৃক্ততার স্পষ্ট প্রমাণ মিলেছে। যাদের অনেকের বিএনপির মিছিলে অংশগ্রহণের ছবিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
ছাত্রলীগের বেশ কয়েকজন ত্যাগী নেতার সাথে কথা বলে জানা যায়, স্থানীয় প্রভাবশালী সংসদ সদস্য নিজের নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখতে এমন বিতর্কিতদের দিয়ে কমিটি করিয়েছেন। এতে ছাত্রলীগের সুনাম ক্ষুন্ন হয়েছে। ত্যাগীরা আশাহত হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির একজন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সময় ট্রিবিউনকে বলেন, রূপগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি পূর্ণাঙ্গ করার সময় অর্থের লেনদেনই এমন বিতর্কিতদের পদায়নে মূল ভূমিকা রেখেছে। তাই মেয়াদউত্তীর্ণ এ কমিটি ভেঙে নতুন করে যাচাই-বাছাই করে একটি গ্রহণযোগ্য কমিটি গঠনের ব্যাপারে আমাদের মাঝে আলোচনা হয়েছে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: