ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ‘লন্ডনি বউ’ দেখতে ভিড়

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি | ৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:৫৯

কন্যাসন্তান নিয়ে লন্ডনের তরুণী এলেন বাঞ্ছারামপুরে। তাদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুরে  প্রেমের টানে চলে এলো লন্ডনের তরুণী জিদরেনো উসমান । কাজের সুবাদে ১২ বছর আগে এই তরুণীর সঙ্গে ইউরোপে পরিচয় হয়েছিল বাংলাদেশি তরুণ আলী উসমানের। পরিচয় থেকে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরপর পরস্পরের মধ্যে বোঝাপড়া, ভালোলাগা আরও গভীর হতে থাকে। এভাবেই কেটে যায় এক বছর। পরে প্রেম গড়ায় প্রণয়ে। জিদরেনো উসমানের পরিবারের সম্মতিতে পারিবারিক বিয়ের পর আলী উসমান ও জিদরেনো উসমানের লন্ডনে কেটে যায় ১১ বছর। 

রবিবার (৭ এপ্রিল) উপজেলার দরিকান্দি ইউনিয়নের দড়িগাঁও গ্রামে ঈদ করার জন্যে হেলিকপ্টারে করে আলী উসমান ও জিদরেনো দম্পতির একমাত্র কন্যা সন্তানসহ বাড়িতে আসেন। এদিকে বিদেশি তরুণীকে দেখতে ভিড় জমায় এলাকাবাসী। বিদেশি মেয়ের সঙ্গে বিয়ের ঘটনায় এলাকায় বেশ চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। তাকে দেখতে লোকজন এসে ভিড় করে। জানা গেছে এই দম্পতির আনুষ্ঠানিক বৌভাত  জাঁকজমকভাবে অনুষ্ঠিত হবে ১৫ এপ্রিল দরিকান্দি ইউনিয়নের দড়িগাও গ্রামে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে , আলী উসমান ২০ বছর আগে উন্নত জীবনের জন্যে পাড়ি জমান ইউরোপে। সেখানে লন্ডনের এই তরুণীর সঙ্গে পরিচয় হলে ভিনদেশি তরুণীকে বিয়ে করার ইচ্ছা পরিবারের কাছে বলেন। আলী উসমানের পরিবার ওই তরুণীর সঙ্গে বিয়েতে মত দিলে লন্ডনে তাদের বিয়ে হয়। 

আলী উসমানের চাচা আলউদ্দিন মেম্বার বলেন, জিদরেনো বিদেশি তরুণী হলেও আমাদের পরিবারের সঙ্গে এখন তার ভালো সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। সব সময় মোবাইল ফোনে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ হতো। ঈদ করতে আমার ভাতিজা ও ভাতিজা বউ বাড়িতে এসেছে। আশা করি পরবর্তীতে জিদরেনো তাদের পরিবার নিয়ে বাংলাদেশ আসবে।

আলী উসমানের বাবা সিরাজুল ইসলাম সরাজ বলেন, বিদেশি মেয়েকে আমার ছেলে পছন্দ করেছে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। আমার ছেলের বউ এই প্রথম বাড়িতে এসেছে। আমরা ঈদের আনন্দ এক সঙ্গে উপভোগ করব।

পরিচয়ের সূত্র নিয়ে আলী উসমানকে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ‘ইউরোপে থাকার সময় জিদরেনোর সঙ্গে পরিচয় হয়। পরে আমাদের মাঝে বন্ধুত্ব হলে আমি তাকে প্রপোজ করি। বিষয়টি আমরা পরস্পরের পরিবারকে বুঝিয়েছি। পরে তারা বিয়েতে রাজি হলে আমরা বিয়ে করি।

জিদরেনো উসমান বলেন, আমি খুবই খুশি আলী উসমানকে পেয়ে। ও খুবই ভালো মনের মানুষ। আমি ওকে বেশি পছন্দ করি। আমি বাংলাদেশের পরিবেশ সম্পর্কে জেনেছি। আজকে আলী ওসমানের পরিবার আমাকে যেভাবে গ্রহণ করেছে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: