ময়মনসিংহের তারাকান্দায় ২১ শে ফেব্রুয়ারির দিন স্কুলে প্রধান শিক্ষকের হাতে সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রীর শ্লীলতাহানির ঘটনায় বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থী ও অভিবাবকরা। এই ঘটনায় তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা।
বুধবার (২৮ ফ্রেব্রুয়ারি) বেলা ১১ টার দিকে শহীদ স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে বিক্ষোভ করে শিক্ষার্থী ও অভিবাবকরা।
পরে ওই দিন দুপুরে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুল বাতেনকে প্রধান করে উপজেলা কৃষি অফিসার অরুণিমা কাঞ্চি সুপ্রভা ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জাকারিয়া আলমসহ তিনজনকে দিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করেন।
এর আগে ২১ ফেব্রুয়ারি শহীদ স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আ. বারেক মিয়ার হাতে শ্লীলতাহানির শিকার হন সপ্তম শ্রেণীর এক ছাত্রী।
তারাকান্দা উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা ইউএনও (ভারপ্রাপ্ত) ফাহমিদা সুলতানা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সুত্র জানায়, গত ২১ শে ফেব্রুয়ারি শহিদ মিনারে শ্রদ্ধা শেষে প্রধান শিক্ষক আ. বারেক মিয়া সকাল ১১ টার দিকে ওই ছাত্রীকে স্কৃলের প্রধান শিক্ষকের কক্ষে দেখা করতে বলেন। পরে শিক্ষকের কথা মতো ওই ছাত্রী তার সাথে দেখা করতে যায়। এসময় ছাত্রীকে কু-প্রস্তাব দিয়ে ছাত্রীর শরীরে হাত দেয়। এসময় ছাত্রী কোন মতে তার হাত রক্ষ পেয়ে বাড়িতে চলে যান। বাড়িতে গিয়ে তার মায়ের বিস্তারিত খুলে বলেন। পরে তার বাবা স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নাঈমুর রহমান উজ্জ্বলকে বিষয়টি জানায়। এমতাবস্থায় বিষয়টি জানাজানি হলে শিক্ষার্থী ও অভিবাবকরা প্রধান শিক্ষক আ. বারেক মিয়াকে অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ করে। পরে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির আশ্বাসে শিক্ষার্থী ও অভিবাবকরা বিক্ষোভ থেকে সরে আসে।
এবিষয়ে শহীদ স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আ. বারেক মিয়ার নাম্বারে একাধিকবার ফোন করলেও তা বন্ধ দেখায়।
এবিষয়ে ছাত্রীর বাবা বলেন, আমি ওই শিক্ষকেন কঠিন শাস্তি চাই। তবে, আমি মামলা করবো না।
স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নাঈমুর রহমান উজ্জল বলেন, বিষয়টি আমাকে আগেই ওই ছাত্রীর বাবা আমাকে জানিয়েছি। তবে, বিষয়টি জানাজানি হলে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করে। পরে বিষয়টি উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা জানালে তিনি সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেন। তদন্তে প্রধান শিক্ষক দোষি প্রমানিত হলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
(ভারপ্রাপ্ত) ইউএনও ফাহমিদা সুলতানা বলেন, এই ঘটনা তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং অতি শীগ্রই তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। তদন্তে প্রধান শিক্ষক দোষি প্রমানিত হলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: