নরসিংদীতে জমে উঠেছে ঐহিত্যবাহী বাউল মেলা

আশিকুর রহমান, নরসিংদী | ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪, ১৯:৩৬

নরসিংদীতে জমে উঠেছে ঐহিত্যবাহী বাউল মেলা
নরসিংদীতে শুরু হয়েছে ঐহিত্যবাহী বাউল মেলা। মূলত বাউল মন্দিরকে কেন্দ্র করেই আয়োজিত হয় এ মেলা।
 
শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারী) সকালে পৌর শহরের কাউরিয়া পাড়া এলাকায় মেঘনা নদীর পাড়ে বাউল মন্দিরে বাতি প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে এ মেলা শুরু হয়। মন্দিরের চারপাশে বসেছে গানের আসর। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা বাউল শিল্পীরা সঙ্গীত পরিবেশন করছেন। মেলাকে কেন্দ্র করে পুরো এলাকা আনন্দ উৎসবে মেতে ওঠেছে। বাউলদের গানে ও পূণ্যার্থীদের ভিড়ে মুখরিত হয়ে ওঠে মেঘনা নদীর তীরে বাউল সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী বাউল মেলা। 
 
মেলা আয়োজক কমিটি সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার সকালে আখড়াধামে উপস্থিত ভক্তবৃন্দরা মন্দিরে প্রথম বাতির মধ্যদিয়ে পূজা-অর্চনার কাজ শুরু করেন। মেলায় এরই মধ্যে সমবেত হয়েছেন দেশ-বিদেশের কয়েক শতাধিক বাউল। মেলা চলবে ২৪-২৯ ফেব্রয়ারী পর্যন্ত। ইতিমধ্যে আমরা আমাদের সকল প্রস্তুতি শেষ করেছি। মেলায় আসা দেশে-বিদেশী অতিথিদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্হা সহ সকল ধরনের নিরাপত্তার ব্যবস্হা নিয়েছি।
 
এছাড়াও মেলায় দর্শনার্থীদের জন্য মন্দিরের বাইরে অর্থাৎ নদীর পাড়ে শিশুদের জন্য হরেকরকমের খেলনা, বাসা-বাড়িতে ব্যবহারের জন্য তৈজসপত্র, বিনোদনের জন্য রয়েছে নাগরদোলা, ট্রয় ট্রেন, চরকি, দোলনা সহ নানা ধরনের রাইড এবং জিলাপি, সন্দেশ, বারোমিঠাই, দই, মুড়ালি, গুড়ের তৈরি মুড়ি ও চিড়ার মোয়া, তিলের মোয়া, তিলের সন্দেশ, খাস্তা, কদমা, নারকেলের নাড়ু, তিলের নাড়ু, খাজা, গজা, নিমকি, মনাক্কা, গাজরের হালুয়া, পিঠাসহ রকমারি খাবারের দোকানের পসরা সাজিয়ে বসেছেন দোকানীরা।
 
স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বাউল ঠাকুরের আখড়াবাড়িতে প্রায় ৫০০ বছর ধরে এই বাউল উৎসব অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। তারা দীর্ঘ ৫০০ বছর ধরে এখানেই বসবাস করে আসছেন। সেই বাউল ঠাকুরের নামেই এ মেলা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। 
 
বাউল আখড়া বাড়ির বর্তমান তত্ত্বাবধায়ক পিন্টু বাউল বলেন, প্রতিবছরের মতো এবারও ঐতিহ্যবাহী এই মেলার আয়োজন করা হয়েছে।
 
প্রতি বছরের মতো এবারও মেলা উপলক্ষে আখড়াধামে উপস্থিত হয়েছেন পাশের দেশ ভারতসহ দেশ-বিদেশের শতাধিক বাউল সাধক।
 
মন্দিরের চারপাশে গানের আসরের ব্যবস্হা করা হয়েছে। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা বাউল শিল্পীরা সঙ্গীত পরিবেশন করছেন। মেলাকে কেন্দ্র করে পুরো এলাকা আনন্দ উৎসবে মেতে ওঠেছে পুরো মেলা প্রাঙ্গণ।
 
তিনি আরও বলেন, এসব সাধকের কাছে সাধনই মূল ধর্ম। আত্মশুদ্ধি আর আত্মমুক্তির জন্যই এই মেলায় আসেন তারা।


আপনার মূল্যবান মতামত দিন: