ময়মনসিংহে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি'র) অভিযানে দশ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে অস্ত্র ও গুলিসহ গ্রেফতার করা হয়েছে।
রবিবার (১৪ জানুয়ারী) সন্ধ্যায় গফরগাঁওয়ের পাগলা থানার খুরশিদ মহল ব্রীজের পশ্চিম পার্শ্বে টোল বক্সের সামনে থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
ময়মনসিংহ জেলা পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভুঞা সোমবার দুপুরে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান। পুলিশ সুপার আরো বলেন, রবিবার সন্ধ্যায় ডিবির অফিসার ইনচার্জ(ওসি) ফারুক হোসেনের নেতৃত্বে এসআই রেজাউল আমীন বর্ষন, এসআই আলমগীর কবীর, এসআই মোঃ আব্দুল জলিল সংগীয় ফোর্সসহ গফরগাঁওয়ের পাগলা থানা এলাকার খুরশিদ মহল ব্রীজের পশ্চিম পার্শ্বে টোল বক্সের সামনে চেকপোষ্ট পরিচালনাকালে সন্দেহজনক একজন ব্যক্তিকে বিধি মোতাবেক দেহ তল্লাশী করে।
এ সময় ঐ ব্যক্তির হেফাজত থেকে ১টি রিভলবার, ১টি একনালা বন্দুক, রিভলবারের ৪ রাউন্ড গুলি ও বন্দুকের ৫ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়। তার নাম হাবিবুর রহমান হবি সে পাগলা থানার এলাকার মৃত সোলাইমান শেখের ছেলে।
গ্রেফতারকৃত হাবিবুর রহমান হবির বিরুদ্ধে অস্ত্র মামলাসহ ৩টি মামলা রয়েছে। তিনি খুনসহ ডাকাতি মামলায় ১০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী। উক্ত আসামী দীর্ঘদিন যাবত গ্রেফতার এড়ানোর জন্য আত্মগোপনে ছিল।
গ্রেফতারকৃত হবির বরাত দিয়ে পুলিশ সুপার আরো বলেন, দত্তের বাজার বিরইয়ের বিএনপি নেতা ফরিদ, জাহাঙ্গীর মেম্বার, আলাল সান ও সোহেলদের নির্দেশে এবং তাদের সাথে দুই লাখ টাকার চুক্তিতে ৫০ হাজার টাকা গ্রহন করে পাগলা থানার বিরুই গ্রামের ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ জালাল উদ্দিনের ছেলে লিটন মিয়াকে পরিকল্পিতভাবে একনালা বন্দুক দ্বারা কৌশলে গুলি করে রাতের আধারেই পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। এ ঘটনায় ফরিদকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ আরো জানায়, ফরিদ, জাহাঙ্গীর মেম্বার, আলাল সান এবং সোহেল স্থানীয় বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত। অত্র হত্যার চেষ্টার ঘটনার পেছনে কোন রাজনৈতিক কিংবা এলাকার আধিপত্য বিস্তার বা অন্য কোন মোটিভ আছে কিনা তা উদঘাটন করার লক্ষ্যে ধৃত আসামীদ্বয়কে জিজ্ঞাসাবাদসহ অন্যান্য কার্যক্রম অব্যাহত আছে। অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় মামলা হয়েছে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: