ফরিদপুরে ঈগলের নির্বাচনী সমাবেশ

স্টাফ রিপোর্টার, ফরিদপুর  | ৪ জানুয়ারী ২০২৪, ২০:২৮

ফরিদপুরে ঈগলের নির্বাচনী সমাবেশ
ফরিদপুরে স্বতন্ত্র প্রার্থী একে আজাদ আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে 
ঈগল মার্কা নিয়ে নির্বাচনে অংশ গ্রহন করেছে।
 
বৃহস্পতিবার বিকেলে ঈগলের  সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের মাঠে নির্বাচনী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। 
নির্বাচনী সমাবেশের সভাপতিত্ব করেন কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের সদস্য বাবু বিপুল ঘোষ। 
 
এ.কে. আজাদ বলেন,  আমি আমার বক্তব্যের শুরুতে শ্রদ্ধা জানাই, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু মুজিবর রহমান ও তার পরিবারের সকলের প্রতি যারা ১৫ই আগষ্টে শাহাদাৎ বরন করেন। 
 
প্রিয় ভাইরা, ২০০১ সালে শেখ সেলিম আওয়ামী লীগের জন্য কাজ করার জন্য বললে আমি বলি আমি রাজনীতিতে জাবো না। এরপর জাফরউল্লাহ সাহেব আমাকে রিয়োকয়েস্ট করেন আওয়ামী লীগে কাজ করার জন্য। তাকেও একই কথা বলি। এরপর শেখ হাসিনা তার আত্মীয় নকিব হোসেন পান্নুকে আমার কাছে পাঠান। তারপর আমি নেত্রীর সাথে একতে কাজ করি। সেই কঠিন ২০০৪ সালে যখন গ্রেনেড হামলা হয় নেত্রী সহ নেতাকর্মীদের উপর। তখন আমার বন্ধু ফারুক ফোন করেন বলেন, বন্ধু দ্রুত এ্যাম্বুলেন্স পাঠাও। আমি এ্যাম্বুলেন্স পাঠাই। রাতে পিএস ফোন করে বলেন, হসপিটালে যারা আহত তাদের জন্য চিকিৎসা, রক্ত ঔষদের ব্যবস্থা করতে। অনেকে আহত তাদের আইম চিকিৎসার ব্যবস্থা করি।
 
পরের দিন আমি নেত্রীর সাথে দেখা করতে যাই।  আমি আর সাজেদা আপা যখন কথা বলছি, তখন খবর দেওয় আইভী আপা আর নেই তখন নেত্রী ঢলে পড়ে যায়।তখন আমি আর সাজেদা আপা নিচে চলে আসি। আমি এমন ভাবে আওয়ামী লীগের সাথে কাজ করেছি। শুধু তাই নয়, ২০০৭ তত্বাবধায়ক সরকার আচে। তখন শেখ হাসিনাকে গ্রেফতার করা হয়। তখন আমাদের নামেও হুলিয়া হয়ে যায়। তোমরা আওয়ামী লীগকে বিভিন্নভাবে সহায়তা করো। তখন বলেন, নেত্রীর বিরুদ্ধে মামলা দিলে তোমাদের কিছু করা হবে না। আমার কাছে একটি ড্রাফ পাঠায়, আমি শই করি নাই। এরপর আমার ভাই ইসমাইলকে মামলা দিয়ে গ্রেফতার করে, আমার স্ত্রীর নামে ১১টি মামলা দেয়, আমার নামে চাঁদাবাজি মামলা দেয়। এমনি ভাবেই ২ বছর আমরা কষ্ট সহ্য করেছি। নেত্রীর মুক্তির জন্য কাজ করেছি। আমার আওয়ামী লেিগর দুঃসময়ে পাশে থাকার, কাজ করার সুযোগ হয়েছে।
 
ঈগল মার্কা নির্বাচিত হলে আমার  হা-মীম গ্রুপে আজ ৭৫ হাজার লোক কাজ করে, আমার ছোট ভাইয়ের শারমীন গ্রুপে ৩০ হাজার লোক কাজ করেন। এখন থেকে এই নিয়োগ হবে ফরিদপুর সদরের জনগনের জন্য। আমি সেই লক্ষ নিয়ে গেরদায় ট্রেনিং সেন্টার করেছি। সেখানে বিনামূল্যে ট্রেনিং শেষ করে ঢাকায় গিয়ে চাকরীতে জয়েন্ট করছে। ৭ তারিখে ঈগল বিজয় হলে প্রত্যেক ইউনিয়নে ট্রেনিং সেন্টার করে দিব। চারকীর ব্যাবস্থা করে দিবো। এই সদরের লোক আর কেউ কর্মহীন থাকবে না।
 
জননেত্রী শেখ হাসিনা না হলে পদ্মা সেতু হতো না। পদ্মা সেতুর হবার পরে এপারে কয়েক শত বিঘা জমি কিনেছি। ভোলা থেকে গ্যাস নিয়ে এসে এখানে শিল্প পার্ক করা হবে। এরপর আপনারা বাড়ির খেয়ে চাকরী করে বাড়িতে এসে ঘুমাবেন। আমরা বাস দিয়ে নিয়ে যাবো বাস দিয়ে বাড়িতে পৌছে দিবো।
এছাড়া  ফরিদপুরকে বিভাগ ঘোষনা করার জন্য শেখ হাসিনার কাছে দাবী করছি। ফরিদপুর পৌরসভাকে সিটি কর্পোরেশনে রুপান্তর করতে দাবী করছি। ফরিদপুর শহরকে উন্নত করতে হলে একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করবো ইনশাআল্লাহ।
 
তিনি বলেন, ফরিদপুরের হাসপাতালের অবস্থা খুব খারাপ। আমি চিকিঃসা সেবা উন্নত হাসপাতাল, একটা মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠা করবো। এখানে অনেক নার্স আছে, তাদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় করবো। ৭ তারিখ হলো আমাদের অগ্নি পরিক্ষা। সন্ত্রাসের শহর বানাবেন নাকি ঈগল মার্কায় ভোট দিয়ে কর্মমূখর হাসিখুশি শহর প্রতিষ্ঠা করবেন।
 
প্রশাসন নির্বিঘ্নে ভোট দেওয়ার নিশ্চয়তা দিয়েছে। ভোট কেন্দ্রে কোন প্রকার অরাজকতা করার সুযোগ নেই। ৭ তারিখ সকাল সকাল ঈগল মার্কার ভোট দিতে জাবেন। জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু।
 
 
মন্ঞ্চে উপস্থিত ছিলেন ফরিদপুর জেলা  আওয়ামীলীগের যুগ্ন আহবায়ক  শওকত আলী জাহিদ, জেলা মহিলা 
আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক নুসরাত তানিয়া,জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের নেত্রী  আইভি মাসুদ, ফরিদপুর শহর আওয়ামীলীগের আহবায়ক মনিরুল ইসলাম মিঠু, যুগ্ন আহবায়ক মনিরুজ্জামান মনির, ফরিদপুর জেলা পরিষদ এর সাবেক চেয়ারম্যান সামসুল হক ভোলা মাষ্টার,   সাবেক মেয়র মাহাতাব আলী মেথু  সহ স্হানীয় আওয়ামীলীগের ও বিভিন্ন ইউ পি চেয়ারম্যানরা। সকলেই একেআজাদ এর পক্ষে ঈগল মার্কায় ভোট চান। জনসভায় হাজার হাজার লোক উপস্থিত হয়। 
 
উল্লেখ্য , একে আজাদ ফরিদপুর জেলা আওয়ামীলীগের 
উপদেষ্টা কর্মির সদস্য ও সাবেক  ফরিদপুর জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি। 

আপনার মূল্যবান মতামত দিন: