কিশোরগঞ্জে চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার পলাতক প্রধান আসামি গ্রেপ্তার

আব্দুর রউফ ভূঁইয়া, কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি  | ২৩ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৭:৩১

কিশোরগঞ্জে চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার পলাতক প্রধান আসামি গ্রেপ্তার
কিশোরগঞ্জে চাঞ্চল্যকর ড্রাইভার খোকন (৪৫) কে হত্যা মামলার এজহারভূক্ত পলাতক প্রধান আসামি হুমায়ূন মিয়া (৩০) কে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১৪, সিপিসি-২ কিশোরগঞ্জ ক্যাম্পের সদস্যরা।
 
গ্রেফতারকৃত হত্যা মামলার প্রধান আসামি মো. হুমায়ুন মিয়া(৩০) কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার সুন্দিরবন এলাকার আব্দুল গণির ছেলে।
 
র‌্যাব-১৪, সিপিসি-২ কিশোরগঞ্জ ক্যাম্পের সদস্যরা  গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত শুক্রবার, (২২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায়  কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের গাইটাল চরপাড়া এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেফতার করেছে।
 
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, জেলার সদর সুন্দিরবন মাইজখাপন এলাকার মৃত লাল মিয়া ছেলে  খোকন মিয়া প্রায় ১৭ বছর আগে একই এলাকার মৃত দুলাল মিয়ার মেয়ে মোছা. হোসনা বেগমকে বিয়ে করে এবং তাদের সংসারে দুই ছেলে ও এক মেয়ে সন্তান রয়েছে।প্রায় দুই তিন মাস আগে ভিকটিম খোকন মিয়া ও তার স্ত্রী  মধ্যে পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মনোমালিন্যের কারণে প্রায় দুই মাস পূর্বে মোছা. হোসনা বেগম তার সন্তানদেরকে স্বামীর ঘরে রেখে তার বাবার বাড়িতে চলে যায়।
 
খোকন মিয়া তার সন্তানদেরকে তার বোন মোছা. শিউলি আক্তারের কাছে দেখভালের জন্য রেখে সে ঢাকা শহরে গাড়ী চালাত এবং প্রতি সপ্তাহে তার সন্তানদের দেখার জন্য সে গ্রামের বাড়িতে আসত। 
 
ঘটনার দিন গত ৩০ নভেম্বর খোকন মিয়া ঢাকা থেকে এসে রাতে শুশুর বাড়িতে যায়।
রাতে খোকন মিয়া নিজ বাড়িতে ফিরে না আসায় খোঁজ নেওয়ার জন্য ভিকটিমের  ছেলে মো. ফেরদৌস মিয়াকে  পরদিন   সকাল নানার বাড়িতে দেখতে পায় আসামি মো. হুমায়ুন মিয়া এবং আসামি রহিম মিয়াসহ অন্যান্য আসামিগণ তার বাবাকে আটক করে মারাত্বকভাবে মারপিট করছে।
 
 মো. ফেরদৌস মিয়া তাৎক্ষণিক বাড়িতে এসে আত্মীয় স্বজনদেরকে ঘটনার বিষয়ে জানালে, তারা দ্রুত  উদ্ধারের জন্য আসামিদের বাড়িতে যায়।বাড়িতে গিয়ে জানতে পারে  খোকনকে আহত অবস্থায় কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে পরবর্তীতে তারা সদর হাসপাতালে গিয়ে খোকন মিয়াকে মৃত অবস্থায় দেখতে পায়।

উক্ত ঘটনায় খোকনের বোন মোছা. শিউলি আক্তার বাদী হয়ে কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
 
বর্ণিত বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ায় প্রচারিত হলে আসামিগণ গ্রেফতার এড়াতে ঘটনার পর পরই এলাকা ছেড়ে আত্মগোপনে চলে যায়। ঐ আসামিদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে র‌্যাব গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে এবং মো. হুমায়ুন মিয়াকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
র‌্যাব জানায় হত্যার ঘটনায় জড়িত অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারের জন্য র‌্যাবের অভিযান অব্যাহত আছে।

গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কিশোরগঞ্জ সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: