ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট থানার একটি বিস্ফোরক মামলায় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্সকে গ্রেফতার দেখানো (শ্যোন এরেস্ট) হয়েছে।
এ সময় সংশ্লিষ্ট মামলায় আইনজীবিরা তার জামিন প্রার্থনা করলে বিজ্ঞ আদালত নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়।
বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টায় ময়মনসিংহ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৫ নং জি.আর আদালতের বিজ্ঞ বিচারক ইকবাল আহম্মেদ সোহাগ এই আদেশ দেন।
এর আগে ওই মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয় বলে নিশ্চিত করেছেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় সদস্য এডঃ মো: নূরুল হক।
এ সময় বিএনপিপন্থি আইনজীবী অ্যাডভোকেট এম.এ হান্নান খান, আনোয়ারুল আজিজ টুটুল, মাসুদ তানভীর তান্না, মাখন মল্লিক, শাজাহান কবীর সাজু, তোফায়েল আহমেদ সুজন ও কামরুল হাসান কিরণসহ প্রায় দুই ডজন আইনজীবী আসামি পক্ষে মামলার শুনানিতে অংশ নেয়।
মামলার ফাইলিং আইনজীবী আবুল কালাম আজাদ জানান, চলতি বছরের বিগত ৩০ অক্টোবর হালুয়াঘাট থানার উপ-পরিদর্শক (এস.আই) সোহেল আহমেদ বাদি হয়ে ৩০ জনের নাম উল্লেখ করে বিস্ফোরক আইনে এই মামলাটি দায়ের করেন। ওই মামলায় সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্সকে প্রধান আসামি করে অজ্ঞাত আরও ৬০ জনকে আসামি করা হয়।
বিএনপি নেতা প্রিন্সের ছেলে সৈয়দ সেহরান ইমরান জানান, গত ৪ নভেম্বর পল্টন থানার একটি হয়রানিমূলক মামলায় ঢাকার বাড্ডা এলাকা থেকে বাবাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বর্তমানে তার বিরুদ্ধে ৪টি মামলা চলমান আছে।
সৈয়দ সেহরান ইমরান আরও বলেন, মিথ্যা ও গায়বী মামলায় আমার বাবাসহ বিএনপি নেতাদের গ্রেপ্তার করে হয়রানি করা হচ্ছে। এসব মামলায় আমরা বার বার বিজ্ঞ আদালতে জামিন প্রার্থনা করেও ন্যায় বিচার বঞ্চিত হচ্ছি।
এদিকে এদিন সকালে কাশিমপুর কারাগার থেকে সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্সকে কঠোর নিরাপত্তায় ময়মনসিংহ চীফ জুডিশিয়াল আদালতে আনা হয়। এ সময় আদালত প্রাঙ্গণে জড়ো হয় বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের শতাধিক নেতাকর্মী। পরে আদালতে জামিন শুনানি শেষে আবার পুলিশী নিরাপত্তায় প্রিন্সকে কাশিমপুর কারাগারে পাঠানো হয়।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: