অনৈতিক সুবিধা নিতে ময়মনসিংহ সদর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের রেকর্ড রুমে দলিলে টেম্পারিংয়ের (ঘষা-মাজা করে তথ্য পরিবর্তন) অভিযোগে দলিল লেখক ও নকল নবিশকে পুলিশে সোপর্দ করেছেন সাব-রেজিস্ট্রার জাহিদ হাসান।
বুধবার দুপুরে ময়মনসিংহ সদর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে এই ঘটনা ঘটে। পুলিশে সোপর্দকৃতরা হলেন-দলিল লেখক ও মহানগর আওয়ামীলীগের সদস্য মো.মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাফিজ এবং নকল নিবশ মঞ্জুরুল হক।
সদর উপজেলা সাবরেজিস্ট্রার জাহিদ হাসান বলেন, সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের তৃতীয় তলার রেকর্ড রুমে একটি পুরনো দলিলে এই দুইজন টেম্পারিং করে। বিষয়টি বুধবার সকালে অফিসে এসে জানতে পেরে তাদেরকে ডেকে আনা হয়। তাদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সত্যতা পাওয়ায় পুলিশের হাতে তুলে দেয়া হয়। এই ঘটনায় তদন্ত কমিটি করা হবে। তবে পুলিশে সোপর্দকৃতরা থানায় মুচলেখা দিয়ে ছাড় পেয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হলে স্থায়ী ভাবে বহিষ্কার করা হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন দলিল লেখক বলেন, দলিলে টেম্পারিং করা দু:সাহসিক কাজ। যারা এটি করেছে তারা অনৈতিক সুবিধা নিয়ে করেছে। কিন্তু দলিল লেখক মহানগর আওয়ামীলীগের সদস্য হওয়ায় তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। আমরা মনে করি সেখানে আইনের সঠিক প্রয়োগ হয়নি। এতে করে সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে মানুষের রক্ষিত মুল্যবান দলিলপত্রে ঝুঁকি বাড়বে।
ময়মনসিংহ কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি তদন্ত আনোয়ার হোসেন বলেন, টেম্পারিংয়ের অভিযোগে সদর উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রার জাহিদ হাসান দলিল লেখক ও মহানগর আওয়ামীলীগের সদস্য মো.মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাফিজ এবং নকল নিবশ মঞ্জুরুল হককে পুলিশে সোপর্দ করে। দুপুরে তাদেরকে পুলিশ থানায় নিয়ে আসলে নেতাকর্মীরা ভিড় জমায়। পরে মেয়র মহোদয়ের সুপারিশে তাদের সাব-রেজিস্ট্রারের জিম্মায় পুনরায় ছেড়ে দেয়া হয়।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: