মাদ্রাসার শিক্ষার্থী সুজন মিয়াকে হত্যা করার চেষ্টায় এখনো পলাতক আসামী গ্রেপ্তার না হওয়ার প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার দুপুর ১টায় ফুলবাড়িয়া উপজেলা পরিষদ সামনে এ মানববন্ধনের আয়োজন করেন শিক্ষকমন্ডলী। এ মানববন্ধনে মাদ্রাসার সাধারণ শিক্ষার্থীরাও যোগ দেন। আহত সুজন (১৪) ফুলবাড়িয়া ইউনিয়নের জোরবাড়ীয়া গ্রামের বাসিন্দা। সে ছনকান্দা দ্বি-মুখী দাখিল মাদ্রাসার ৮ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী।
সহপাঠীকে হত্যা করার চেষ্টায় জড়িতদের অনতিবিলম্বে গ্রেফতারের দাবী জানায়। সে সময় তাদের হাতে ধরা প্লেকার্ডে লেখা ছিল 'সুজন এর উপর সন্ত্রাসী হামলার বিচার চাই', ঘাতক ইমন, ঘাতক সিয়াম।
এসময় মাদ্রাসার সুপার মাওঃ সানাউল্লাহ, সহঃ সুপার হাবিবুর রহমান, মো. আবু তাহের, বীরমুক্তিযোদ্ধা আবু বকর ছিদ্দিক, কাউন্সিল সাকির আহমেদ খান, পৌর আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফাসহ শিক্ষক-শিক্ষার্থীবৃন্দ প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
এ ঘটনায় গত ২১ নভেম্বর/২৩, ফুলবাড়িয়া থানায় তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন আহতের বাবা চাঁন মিয়া।
প্রত্যক্ষদর্শী ও মামলার নথি সূত্রে জানায়, সোমবার সকালে ফুলবাড়িয়া উপজেলার ছনকান্দা দ্বি-মুখী দাখিল মাদ্রাসায় প্রাইভেট পড়তে যায় সুজন। ওই গ্রামের বাবুল মিয়ার ছেলে বখাটে ইমান মিয়া (২২), সুরুজ আলীর ছেলে সিয়াম (২০), কাজল মিয়ার ছেলে আনোয়ার হোসেন একই গ্রামের চান মিয়া ছেলে সুজনকে ছুরিকাঘাত করেন। মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে ফুলবাড়িয়া সরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মচিমহে রেফার্ড করেন।
পরিবার সূত্র জানায়, আহত সুজনের বামপাশ্বে কিডনি ছিদ্র হয়ে গেছে। ময়মনসিংহ হাসপাতালে আইসিউতে মূমূর্ষ অবস্থায় চিকিৎসাধীন। হত্যা করার চেষ্টার প্রতিবাদে এই মানবন্ধন। পরে ইউএনও, থানার অফিসার ইনচার্জ ঘুরিকাঘাতে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতারে আশ্বাসে সড়ক ছাড়েন মানবন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা।
পুলিশ জানায়, গত ২০ নভেম্বর সকালে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্রে করে এ ঘটনা ঘটে। প্রাইভেট পড়াবস্থায় শ্রেণীকক্ষে আহত সুজন ও আসামী ইমান,সিয়াম, আনোয়ার হোসেনদের সঙ্গে তার বাকচিন্তা শুরু হয়। এপর্যায় সুজন ছুরিকাঘাতে আহত হন। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। মামলা নং ১০, তাং ২১.১১.২৩ই।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: