হোসেনপুরে হেলিকপ্টারে চড়ে কর্মচারীর বাড়ীতে বেড়াতে আসলেন সৌদিয়ান মালিক

আব্দুর রউফ ভূঁইয়া, কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি | ২১ নভেম্বর ২০২৩, ১৭:০১

হোসেনপুরে হেলিকপ্টারে চড়ে কর্মচারীর বাড়ীতে বেড়াতে আসলেন সৌদিয়ান মালিক
কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার সিদলা ইউনিয়নের বাসিন্দা সৌদি প্রবাসী এক কর্মচারীর সাথে  তার গ্রামের বাড়িতে  বাংলাদেশে বেড়াতে এসেছেন সৌদি আরবের নাগরিক আহাম্মদ হলিবি (৬০) ও তার ছেলে আব্দুল লিল হলিবি (৪৫)। তারা তিন দিনের সফরে আজ মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) সকাল সোয়া ১০টায় হেলিকপ্টার যোগে কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলায় পৌঁছান।
 
আগত দুইজন সৌদি নাগরিক সৌদি আরবের দাম্মাম এর আল হাসা'র খালিদীয়া এলাকার অধিবাসী।
 
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার সিদলা ইউনিয়নের সাহেবের চর নয়া পাড়া এলাকার মৃত কৃষক চাঁন মিয়ার তিন ছেলে খাইরুল ইসলাম (৪০), আব্দুল হামিদ (৩৫) ও সারোয়ার হোসেন সাহিদ (৩১)। খাইরুল ২০ বছর আর ছোট দুই ভাই হামিদ ও সারোয়ার ৭ বছর আগে সৌদি আরবে যান। সৌদি আরবের দাম্মাম এর আল হাসা'র খালিদীয়া এলাকার শামীম আহাম্মদ হলিবি এর পরিবারের কৃষি কাজ করেন খাইরুল ও হামিদ এবং সারোয়ার হাউজ ড্রাইভারের দায়িত্ব পালন করেন। সেখানে কাজ করতে গিয়ে মালিকদের সঙ্গে তাদের তিন ভাইয়ের হৃদ্যতাপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। 
 
সেই ভালোবাসার টানে মঙ্গলবার ২১ নভেম্বর তিন দিনের সফরে বাংলাদেশে আসেন সৌদি নাগরিক আহাম্মদ হলিবি ও তার ছেলে আব্দুল লিল হলিবি। আব্দুল হামিদ এক সাপ্তাহ আগে দেশে এসেছেন। মালিক ও ছেলের সাথে দেশে এসেছেন খাইরুল। সৌদিতে রয়ে গেছেন সারোয়ার। 
 
মঙ্গলবার ভোরে বাংলাদেশে এলে বিমানবন্দর থেকে হামিদ তাদেরকে বরণ করেন। পরে ঢাকা থেকে হেলিকপ্টার যোগে হোসেনপুর সদরের ঢেকিয়া খেলার মাঠে আসেন পরে সেখান থেকে মাইক্রোবাসে করে তারা সাহেবের চর নয়া পাড়া এলাকায় যান।
 
সৌদি আরবের এই দুই নাগরিককে দেখতে এলাকায় ভীড় করছেন শিশু, নারী-পুরুষসহ বিভিন্ন বয়সী মানুষ। প্রবাসী খাইরুল ও হামিদ আরবিতে কথা বলছেন মালিক ও ছেলের সাথে। অন্য কারও সঙ্গে কথা বলতে গেলেও এই দুইজন সহযোগিতা করছেন।
 
স্থানীয় এলাকাবাসী মোহাম্মদ আরহাম বলেন, শ্রমিকের সাথে দেশে মালিক আসতেছে তা খুবই আনন্দের। আমি ৫ বছর সৌদি থেকেছি মালিকের গন্ধও পাইনি। 
 
খাইরুল, হামিদ ও সারোয়ার এর খালু আমের উদ্দিন হাজী বলেন, আমিও এই মালিকের অধীনে কাজ করেছি। আহাম্মদ হলিবি অনেক ভালো মানুষ। তার পরিবারে আমি ২৩ বছর কাজ করেছি পরে আমি আমি খাইরুলকে নিয়েছিলাম সোদিতে। এখন তিনি আমাদের দেশে আসছেন এতে আমার অনেক ভালো লাগছে।


আপনার মূল্যবান মতামত দিন: