নরসিংদীবাসীর আশা আকাঙ্খার বাতিঘর শেখ হাসিনা 

আশিকুর রহমান, নরসিংদী প্রতিনিধি | ১০ নভেম্বর ২০২৩, ১০:০১

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা 
দীর্ঘ ১৯ বছর পর আগামী ১২ নভেম্বর (রবিবার) নরসিংদী আসছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার এই সফর কে ঘিরে পুরো নরসিংদী জুড়ে উৎসবের আমেজ সৃষ্টি হয়েছে।
 
প্রধানমন্ত্রীর এ সফরকে সামনে রেখে নরসিংদীতে বিরাজ করছে সাজ সাজ রব। নরসিংদীবাসীর আশার বাতিঘরকে অভিনন্দন জানাতে নেতাকর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষও অধির আগ্রহে অপেক্ষার প্রহর গুনছেন।
 
মূলত ১৫ হাজার ৫০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ সার কারখানা 'ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া ফার্টিলাইজার প্রকল্পটি’ উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। তারপর তিনি দুপুর আড়াইটায় নরসিংদী শহরের মোসলেহ উদ্দিন ভূঁইয়া স্টেডিয়ামে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।
 
স্বাভাবিকভাবে তাঁর এই আগমনকে ঘিরে দলের নেতাকর্মীর পাশাপাশি নরসিংদীর সাধারণ মানুষের মধ্যে এক ধরনের উৎসাহ-উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়েছে। জনসভা সফল করতে কেন্দ্রীয় নেতাদের তদারকিতে দিনরাত কাজ করছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা।
 
ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রশাসন থেকে শুরু করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। চলছে প্রচার-প্রচারণা। রং তুলির আঁচড়ও প্রায় শেষ পর্যায়ে। পাশাপাশি জনসভার মঞ্চও শেষের পথে। এই মঞ্চ থেকেই নরসিংদীবাসীর কাছে ভোট চাইবেন প্রধানমন্ত্রী। দেবেন নানা নির্দেশনা। ফলে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীরা নিজেদের শক্তিমত্তা প্রদর্শন এবং জনজোয়ার দেখানোর জন্য অনেকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে গ্রহণ করেছেন। সেজন্য তারা তাদের অনুসারীদের নিয়ে দলভারী করায় ব্যস্ত সময় পার করছেন।
 
সাধারণত প্রধানমন্ত্রী কোনো এলাকা সফরে গেলে তাঁর কাছে সেখানকার মানুষের নানা দাবি থাকে। স্বাভাবিকভাবেই এখানকার মানুষের  চাওয়া-পাওয়া নিয়েও আলোচনা চলছে। যেমন- পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ, নরসিংদী-ঢাকা ট্রেন সার্ভিস। এসব দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন চালিয়ে আসছে নরসিংদীর সাধারণ মানুষ। কিন্তু হবে, হচ্ছে বলেও হচ্ছে না বহুল আলোচিত এসব প্রকল্প।
 
অপরপ্রান্তে মেট্রোরেল নিয়ে আলোচনা চললেও এ বিষয়েও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা চায় তাদের আশার বাতিঘর প্রধানমন্ত্রীর কাছে। এসব বিষয়গুলো আনুষ্ঠানিকভাবে তুলে ধরতে ভূমিকা রাখতে পারেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ বলে মনে করেন সাধারণ মানুষ।
 
১৯ বছর পর নরসিংদীতে জনসভা করতে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগামী দ্বাদশ  নির্বাচনের ২ মাস আগে এই জনসভা করতে যাচ্ছেন তিনি।
 
জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে মোসলেহ উদ্দিন ভূঁইয়া মাঠে এ জনসভা অনুষ্ঠিত হবে। ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েই সারাদেশে উন্নয়নের দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন। এরপর একের পর এক বিভিন্ন মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন তিনি।
 
ইতোমধ্যে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেল নির্মাণ, ঢাকা-কক্সবাজার রেললাইন স্থাপন, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ, ঢাকা-চট্টগ্রাম রেললাইনকে ডাবল লাইনে উন্নীত করণ, মেট্রোরেল, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, পায়রা সমু্দ্র বন্দর ও পদ্মা সেতুর মত বড় বড় নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে।
 
স্থানীয় বাসিন্দারা তাদের আশার বাতিঘর প্রধানমন্ত্রীর কাছে নরসিংদীবাসীর সমস্যা ও তাদের মনের কথা তুলে ধরার সবচেয়ে সুবর্ণ সুযোগ বলে মনে করেন। তাই এই সুযোগ হাতছাড়া করা যাবে না। যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও সহজ করতে ঢাকার সাথে নরসিংদীর মেট্রোরেল যোগাযোগ ব্যবস্হা করা দরকার।
 
পাশাপাশি নরসিংদী-ঢাকা ট্রেন সার্ভিস ব্যবস্হা করণ। মানসম্মত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অভাবের বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন ও উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্হায় মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল স্হাপনের বিষয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে বলে মনে করেন তারা।

আপনার মূল্যবান মতামত দিন: