দেউলিয়ার পথে এপিএসসিএল, নতুন লোকবল কাঠামোতে অনিয়ম

গোলাম সারোয়ার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি | ২৬ অক্টোবর ২০২৩, ১৩:৫৫

দেউলিয়ার পথে এপিএসসিএল, নতুন লোকবল কাঠামোতে অনিয়ম

নতুন লোকবল বাড়ানোর ক্ষেত্রেও অনিয়মের পথে হাঁটছেন জেলার আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানি লিমিটেড (এপিএসসিএল) কর্তৃপক্ষ।  

কোম্পানিতে কর্মকর্তার পাহাড় বানাতে চাইছেন তারা। সেজন্য নতুন লোকবল কাঠামোতে কর্মকর্তার জয়জয়কার। সৃষ্টি করা হয়েছে কর্মকর্তাদের নতুন পদও। এক কর্মকর্তার বিপরীতে দুইজন কর্মচারী- নতুন এই লোকবল কাঠামোকে কোম্পানি ডুবানোর আয়োজন হিসেবে দেখছেন শ্রমিক-কর্মচারীরা। তারা বলছেন- প্রস্তাবিত  লোকবল নিয়োগ হলে ২ বছরে এই কোম্পানি দেউলিয়া হয়ে যাবে। 

সূত্র জানায়, কোম্পানি হওয়ার আগে ২০০১ সাল পর্যন্ত আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কমপ্লেক্সের লোকবল ছিল ১০৯৯ জন। এরমধ্যে কর্মকর্তা ছিলেন ১১০ জন। ২০০৩ সালে কোম্পানি হওয়ার পরও এই লোকবলই ছিল। একজন চিফ ইঞ্জিনিয়ারের অধীনে ১০৯৯ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োজিত ছিলেন। এরপর ২০০৫ সালে ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং ২ জন নির্বাহী পরিচালকের পদে নিয়োগ হয়।

লোকবলের কাঠামো সাজিয়েছে এর তিন ভাগের একভাগ হলেই যথেষ্ট। 

কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী এ এম এম সাজ্জাদুর রহমান বলেন-আগের লোকবল ছিল পিডিবি স্ট্রাকচারে। প্রতি মেগাওয়াটের জন্য ১ জন করে লোক দরকার। সেই হিসেবে ১৬ শ’ মেগাওয়াটের জন্য আমরা ১৩ শ’ লোক দিয়েছি। লোক তো কমই লাগছে। তবে নতুন লোক কাঠামোর প্রস্তাব ফাইনাল হয়নি জানিয়ে তিনি বলেন-এটি মন্ত্রণালয়ে দেয়া আছে।  

আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানি লিমিটেড সরকারি মালিকানাধীন একটি পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি এবং দেশের সর্ববৃহৎ পাওয়ার হাব। ২০০৩ সালের ১লা জুন কোম্পানি হিসেবে এর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। এর আগে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের অধীনে আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কমপ্লেক্স নামে এই বিদ্যুৎ  কেন্দ্রটি পরিচালিত হতো। তখন ৮টি ইউনিটের মাধ্যমে এর উৎপাদন ক্ষমতা ছিল ৭২৪ মেগাওয়াট। এই ইউনিটগুলোর একটি ছাড়া বাকিগুলো বন্ধ এবং বিক্রি করে দেয়া হয়েছে। বর্তমানে ৬টি ইউনিটের মাধ্যমে উৎপাদন হচ্ছে ১৫৮৮.৯২৬ মেগাওয়াট। যদিও বাস্তবে এই পরিমাণ উৎপাদন নেই বলেই জানিয়েছে দায়িত্বশীল সূত্র।


আপনার মূল্যবান মতামত দিন: