আশুলিয়ায় দুর্ধর্ষ ডাকাতি: নয় লক্ষ টাকা ও ১৫ ভরি স্বর্ণ লুট

খোরশেদ আলম, সাভার প্রতিনিধি | ২৫ অক্টোবর ২০২৩, ২০:২৮

আশুলিয়ায় দুর্ধর্ষ ডাকাতি: নয় লক্ষ টাকা ও ১৫ ভরি স্বর্ণ লুট

ঢাকার অতি নিকটেই সাভারের আশুলিয়ার পুলিশ ক্যাম্পের একটু দূরেই ব্যবসায়ীর বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতির অভিযোগ উঠেছে। বাড়ির জানালার গ্রিল কেটে ভিতরে ঢুকে অস্ত্রের মুখে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকারসহ ব্যবসায়ীর লাইন্সেসকৃত একটি পিস্তল ও শটগানসহ লুট করে নিয়ে যায় ডাকাত দলেরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশের উর্ধ্বতন অফিসারসহ র‌্যাব-৪-এর সাভার নবীনগর ক্যাম্পের কর্মকর্তারাও।

বুধবার (২৫ অক্টোবর) ভোর রাত প্রায় ৩টার দিকে আশুলিয়া টঙ্গাবাড়ি এলাকার ওবায়দুল তালুকদারের বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। তিনি সাবেক সংসদ সদস্য তালুকদার তৌহিদ জং মুরাদের চাচাতো ভাই।

পুলিশ ও সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তিন তলার বাড়ির দেয়ালে সঙ্গে বাঁশ রেখে ২য় তলার বারান্দায় উঠে ডাকাত দল। বারান্দাগুলো তিন ফুট গ্রিল বাকীটা উন্মুক্ত ডিজাইনের। ফলে ডাকাত দল বাঁশের সাহায্যে বারান্দায় উঠে জানালার গ্রিল কেটে ভিতরে ঢুকে পড়ে। ডাকাত দল বাড়িটিতে প্রায় দুই ঘণ্টা অবস্থান করে। ডাকাতির ঘটনাস্থল থেকে প্রায় এক কিলোমিটারের একটু বেশি দুরত্বে আশুলিয়া থানার একটি পুলিশ ক্যাম্প রয়েছে।

সাভার সচেতন নাগরিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. সালাহউদ্দিন খান নঈম বলেন, ‘পুলিশের তৎপরতা যদি যথাযথ থাকে তাহলে অপরাধীরা এমন বড় ধরনের ঘটনা ঘটাতে সাহস পাওয়ার কথা নয়। যদি ঘটনাটি পুলিশের ক্যাম্পের অদূরে হয়ে থাকে, তাহলে এটা অপ্রত্যাশিত ও দুঃখজনক।’

ভুক্তভোগী ওবায়দুল তালুকদার বলেন, ‘ভোর রাতে তিন তলা বাড়ির দোতলার খোলা বারান্দায় উঠে তারপর জানালার গ্রিল কেটে সাত থেকে আট সদস্যের অস্ত্রধারী ডাকাত ঘরে প্রবেশ করে। ঘরে প্রবেশ করেই বাড়ির দুই ও তিন তলায় বসবাসকারী সবাইকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে। এরপর ঘরে থাকা নগদ সাড়ে নয় লক্ষ টাকা, ১৫ ভরি স্বর্ণালঙ্কার, একটি পিস্তল ও একটি শটগানসহ মুল্যবান মালামাল লুট করে পালিয়ে যায়।’

এ বিষয়ে আশুলিয়া থানার আশুলিয়া পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ ও এস আই আরাফাত উদ্দিন বলেন, ‘ভোর রাত ৪টা ৩২ মিনিটে খবর পাই। ৪টা ৩৮ মিনিটেই পৌঁছে যাই। প্রাথমিকভাবে ধারণা, গ্রিল কেটে ডাকাত দল ঢুকেছে। দুইটি লাইসেন্সকৃত আগ্নেয়ান্ত্রে নিয়ে গেছে তারা। উর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করছেন। আমরা অপরাধীদের গ্রেপ্তার কাজ শুরু করেছি। পুলিশ ক্যাম্পের এতো কাছে এ বড় ডাকাতি? জবাবে তিনি আরো বলেন, ‘ক্যাম্প থেকে একটি টহল টিম ছিল রুস্তমপুরে পূজার ডিউটিতে। অবশ্য কাছাকাছি থানার আরেক টহল টিম ছিল কাঠগড়া এলাকায়। তবে খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে আসে দুই টিম। আমরা চেষ্টা করছি আসামি গ্রেপ্তারের। ক্যাম্পের কাছে বলে কথা নয়, আমার ঘটনার পর থেকেই একটানা কাজ করছি।’ 

এ ঘটনায় আশুলিয়ায় থানায় ভুক্তভোগী বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: