দৃশ্যমান হচ্ছে তিস্তা সেতু

ফয়সাল রহমান জনি, গাইবান্ধা প্রতিনিধি | ১৯ অক্টোবর ২০২৩, ১৪:০০

দৃশ্যমান হচ্ছে তিস্তা সেতু
বাস্তব রূপ পেতে শুরু করেছে গাইবান্ধা ও কুড়িগ্রামবাসীর দীর্ঘদিনের স্বপ্ন তিস্তা সেতু। এর অবকাঠামো এখন অনেকটাই দৃশ্যমান। এরই মধ্যে বসানো হয়েছে সেতুটির ১৯তম স্প্যান। চলতি সপ্তাহে বসবে আরও দুটি স্প্যান। একটু একটু করে এটি যতই দৃশ্যমান হচ্ছে, ততই আশায় বুক বাঁধছে তিস্তার দুপাড়ের বাসিন্দারা। বাস্তব রূপ পেতে শুরু করেছে দীর্ঘদিনের স্বপ্ন ‘তিস্তা সেতু’। 
 
বাস্তব রূপ পেতে শুরু করেছে দীর্ঘদিনের স্বপ্ন ‘তিস্তা সেতু’
জেলার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের (এলজিইডি) তথ্য অনুযায়ী, গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ অংশের হরিপুর থেকে কুড়িগ্রামের চিলমারী পর্যন্ত তিস্তা নদীর ওপর নির্মিত হচ্ছে এ সেতু। এলজিইডির মাধ্যমে বাস্তবায়িত দেশের প্রথম দীর্ঘতম সেতু হতে যাচ্ছে তিস্তা সেতু। নির্মাণ কাজ শেষ হলে সেতুটির দৈর্ঘ্য দাঁড়াবে ১ হাজার ৪৯০ মিটার। এতে বসানো হবে ৩১টি স্প্যান। দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে দুই পাড়ের মানুষের স্বপ্নের এ সেতুর বাকি কাজ। 
 
স্থানীয়রা জানান, সেতুটি চালু হলে তারা যেমন অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করবে, তেমনি নদী ভাঙন থেকেও রক্ষা পাবে। প্রকল্পটি শেষ হলে কুড়িগ্রাম, উলিপুর, নাগেশ্বরী, ভুরাঙ্গামারী ও চিলমারী থেকে সড়কপথে ঢাকার দূরত্ব কমে আসবে ১৩৫ কিলোমিটারের মতো। দূরত্ব কমবে বিভাগীয় শহর রংপুরেরও। পাল্টে যাবে এ অঞ্চলের মানুষের জীবনযাত্রা, ঘটবে অর্থনৈতিক উন্নয়ন।
 
 অর্থনীতিতে পদ্মা রেলসেতুর প্রভাব, মিলবে যেসব সুবিধা
হারুন মিয়া নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, কুড়িগ্রাম যেতে বা ওপার থেকে এপারে আসতে নৌকায় দুঘণ্টার বেশি সময় লাগে। আবার সিরিয়ালের জন্য বসে থাকতে হয় ঘণ্টার পর ঘণ্টা। কিন্তু সেতুটি চালু হলে ১০ মিনিটে ওপার থেকে এপারে আসা-যাওয়া করা যাবে।
 
গাইবান্ধা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সাবিউল ইসলাম জানান, সেতুর পাশাপাশি এর উভয় পাশে স্থায়ীভাবে নদী শাসন করা হচ্ছে প্রায় সাড়ে ৩ কিলোমিটার। সেতুর উভয় পাশে সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা হচ্ছে ৮৬ কিলোমিটার। সেতুটি নির্মিত হলে নদীভাঙনও রোধ হবে পদ্মা সেতুতে রেল চলাচল উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী।
 
এদিকে দুপাড়ের মানুষের যোগাযোগ বৃদ্ধির মাধ্যমে সৃষ্টি হবে ব্যাপক কর্মসংস্থান। নির্দিষ্ট সময়ে সেতুটির নির্মাণ কাজ শেষ করতে দিন-রাত চলছে কর্মযজ্ঞ।
 
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৪ সালের ২৬ জানুয়ারি সেতুটির ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করলেও নানা জটিলতা কাটিয়ে ২০২১ সালে শুরু হয় এর নির্মাণ কাজ। এটির ব্যয় ধরা হয়েছে ৭শ ৩০ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। ২০২৪ সালের জুন মাসে সেতুর কাজ শেষ হওয়ার কথা।

আপনার মূল্যবান মতামত দিন: