বণিক সমিতি

সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে ২৫ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে বিক্ষোভ

সময় ট্রিবিউন ডেস্ক: | ৪ জুলাই ২০২৩, ২১:৫৭

সংগৃহীত ছবি

মাদারীপুরে বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়ার (তুষার ভূঁইয়া) বিরুদ্ধে প্রায় ২৫ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে বিক্ষোভ করেছেন ব্যবসায়ীরা।

সোমবার (৩ জুন) বিকেলে মাদারীপুর শহরের পুরাণ বাজার এলাকা থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। শেষ হয় চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির অফিসের সামনে গিয়ে।

পরে সেখানে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ব্যবসায়ী নেতাসহ ভুক্তভোগীরা। এ সময় ব্যবসায়ীরা আগামী তিনদিনের মধ্যে তাদের পাওনা আদায়ে মেসার্স লুবনা ট্রেডার্সের মালিক মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়াকে আল্টিমেটাম দেন। তা না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের ঘোষণা দেন ব্যবসায়ীরা।

ব্যবসায়ীদের অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি বিভিন্ন কোম্পানির সিগারেট কিনতে মেসার্স লুবনা ট্রেডার্সের মালিক মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়াকে তিন ব্যবসায়ী প্রায় ২৫ কোটি টাকা দেন। তারা দীর্ঘদিন ধরে ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো কোম্পানির সিগারেটের ব্যবসা করে আসছিলেন। পরে টাকা কিংবা সিগারেট না দিলে কয়েক দফা পাওনা আদায়ের জন্য বললেও ব্যর্থ হন ওই তিন ব্যবসায়ী। একপর্যায়ে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী মনির হাওলাদার, সুজন মোল্লা ও সাখাওয়াত হোসেন। পরে ভুক্তভোগী ও তাদের পরিবার এবং ব্যবসায়ীরা সোমবার বিকেলে বিক্ষোভ করেন। এ সময় চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্টির নেতারা পাওনা আদায়ে আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।

বিক্ষোভ ও সংক্ষিপ্ত সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন মাদারীপুর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি সভাপতি হাফিজুর রহমান খান, সিনিয়র সহ-সভাপতি বাবুল চন্দ্র দাস, নন্দ দুলাল সাহা, মনিরুজ্জামান আক্তার প্রমুখ।

ভুক্তভোগী মনির হাওলাদার, সুজন মোল্লা ও সাখাওয়াত হোসেন জানান, আমরা ধার দেনা করে এই টাকা ব্যবসায়ের জন্য মেসার্স লুবনা ট্রেডার্সের মালিক মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়ার কাছে দিয়েছিলাম। কিন্তু তিনি সে টাকা ফেরত দেননি, এমনকি সিগারেটও দেননি। আমরা তার কাছে বার বার টাকা ফেরত চেয়েও পাইনি। তাই কোনো উপায় না পেয়ে বিক্ষোভে নামতে হয়েছে।

এদিকে অভিযুক্ত মেসার্স লুবনা ট্রেডার্সের মালিক মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ব্যবসায়ী সাখাওয়াত হোসেনের কাছে ১১ কোটি ৭ লাখ ৯৭ হাজার ৯০৩ টাকা ও মনির হাওলাদারের কাছে ১১ কোটি ১৮ লাখ ২৩ হাজার ৮১৫ টাকা পাওনা আদায়ে মামলা করলে তারা উল্টো বিক্ষোভ করেন। একটি পক্ষ ব্যবসায়িক ও রাজনৈতিক সম্মান ক্ষুণ্ণ করতে এই বিক্ষোভ করাচ্ছেন।

মাদারীপুর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি সভাপতি হাফিজুর রহমান খান বলেন, ব্যবসায়ীদের অভিযোগের ভিত্তিতে আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে অভিযুক্ত মেসার্স লুবনা ট্রেডার্সের মালিক মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়াকে তার পক্ষের প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ যৌক্তিক কারণ দেখাতে বলা হয়েছে।


আপনার মূল্যবান মতামত দিন: