শেরপুরে প্রতিবেশীর হামলায় পালিয়ে বেড়াচ্ছে এক অসহায় পরিবার‌

মো. রাজন মিয়া,শেরপুর | ২৪ মে ২০২৩, ০১:২৬

ছবিঃ সংগৃহীত

শেরপুরে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে প্রতিবেশী এক নিরীহ পরিবারের বাড়িতে হামলা চালিয়ে বাড়িঘর ভাংচুর, টাকা ও গহনা ছিনিয়ে নেয়া সহ গাছপালা কেটে ক্ষতিসাধন ও হত্যার হুমকির অভিযোগ উঠেছে।

২২ মে (সোমবার) এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষে শেরপুর বিজ্ঞ সি আর আমলি আদালতে ৮ জনকে আসামী করে মামলা (নং সি আর-৫২৩/২০২৩) দায়ের করেছেন মোছাঃ হালিমা খাতুন।

এ ঘটনাটি ঘটেছে শেরপুর পৌর এলাকার কসবা শিবোত্তর মহল্লার হাসানুজ্জামানের বাড়িতে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে ওই মহল্লার বাসিন্দা আনছার আলী (৫০) গংরা বাদীর পরিবারের সাথে শত্রুতা করে আসছিল। ইতিপূর্বেও হালিমা খাতুনের বাড়ির আশেপাশের গাছ কেটে এবং বিষ প্রয়োগে পুকুরের মাছের ক্ষতিসাধন করেছেন। এলাকায় শালিস দরবার করে মিমাংসার চেষ্টা করেও কোন সমাধান মেলেনি। বিবাদীগন আবারো গত ১৫ ই মে পরিকল্পিতভাবে হালিমা খাতুনের বসত বাড়িতে হামলা চালিয়ে আসবাবপত্র ভাঙচুর, বনজ ও ফলজ বৃক্ষ নিধনসহ বাদি ও সাক্ষীদের মারধর করে আহত করেন এবং টাকা ও গহনা ছিনিয়ে নেন বলে দাবি হালিমা খাতুনের।

এ বিষয়ে জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন হালিমা খাতুন বলেন, "বিবাদীরা তাকে ও সাক্ষীদেরকে নানাভাবে হত্যা করার হুমকি দেয়ায় বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন তারা। তিনি তার ও পরিবারের নিরাপত্তা চান।"

হালিমা খাতুনের মেয়ে ফেরদৌসী আখতার বলেন, "গোষ্ঠীগত লোকজন বেশি হওয়ায় বিগত ৫ বছর ধরে বিবাদীরা আমাদের উপর অত্যাচার করে আসছেন। আমার একমাত্র ভাইকে তারা হত্যা করে ফেলতে পারেন এই ভয়ে আমরা ঠিকমতো ফসল‌ও উঠাতে পারিনা।"

বাদীর ছেলে আবু হানিফ বলেন, "প্রতিপক্ষরা আমাকে সব সময় 'আল্লাহু আকবার' শব্দ উচ্চারণ করে জবাই করার হুমকি দেয়। এজন্য আমি সবসময় আতঙ্কের মধ্যে থাকি।"

এ বিষয়ে এলাকাবাসী মোঃ মালেক ও আনছার আলী সহ অনেকের সাথে কথা বলে জানা যায়, উভয় পক্ষ পরষ্পরের ঘনিষ্ঠ আত্মীয়। মুন্সী বাড়ী নামে পরিচিত ওই বাড়ির লোকজন সাধারণত কোনো কলহবিবাদে জড়ায় না। তবে তাদের মধ্যে জমিজমা নিয়ে সমস্যা রয়েছে দীর্ঘদিন যাবত।

এ বিষয়ে বিবাদী মোঃ কামরুল হাসান রতন বলেন, "বাদী আমাদের নিকটাত্মীয়। গাছের ফলফলাদি চুরি হ‌ওয়াকে কেন্দ্র করে সামান্য ভূল বুঝাবুঝির কারণে হাতাতাতি হয়েছে মাত্র। নিজেদের মধ্যে ওই সামান্য ঘটনাকে কেন্দ্র করে আমাদের প্রতি মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে।"

আদালত অভিযোগটি আমলে নিয়ে বিবাদীগনের বিরুদ্ধে সমন জারির আদেশ দিয়েছেন।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


জনপ্রিয় খবর