সীতাকুণ্ডের তুলার গোডাউনে সাড়ে ৭ ঘণ্টা ধরে জ্বলছে আগুন  

সময় ট্রিবিউন ডেস্ক | ১২ মার্চ ২০২৩, ০১:১৫

সংগৃহীত
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ইউনিট্যাক্স কোম্পানির একটি তুলার গুদামে লাগা অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ৮টি ইউনিট। এতে করেও সাড়ে ৭ ঘণ্টায় নিয়ন্ত্রণে আসেনি আগুন।  
 
আজ শনিবার (১১ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার কুমিরা ইউনিয়নের ছোট কুমিরা বাইপাস রোড সংলগ্ন হিঙ্গিরি পাড়া এলাকায় এস এল গ্রুপের মালিকানাধীন তুলার গোডাউনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। 
 
আগুন অনিয়ন্ত্রণেরে বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন সীতাকুণ্ড ফায়ার সার্ভিসের জ্যেষ্ঠ স্টেশন কর্মকর্তা নুরুল আলম দুলাল। তবে এ ঘটনায় এখনো পর্যন্ত কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি বলে তিনি জানিয়েছেন। 
 
পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, তুলার গুদামে স্ক্র্যাপ লোহা গ্যাস দিয়ে কাটার সময় এ অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হতে পারে। আর অপরিকল্পিতভাবে গড়ে তোলা হয়েছে এই গুদাম। সরকারি কোন অনুমোদনও ছিলো না বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। 
 
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সকালে তুলার গুদামে মেরামতের কাজ করছিলেন শ্রমিকেরা। গ্যাস সিলিন্ডার দিয়ে কাটিংয়ের কাজ করার সময় আগুনের স্ফুলিঙ্গ তুলার উপরে পড়ে। এতে গুদামে আগুন লেগে যায়। মুহূর্তের মধ্যে তা পুরো তুলার গোডাউনে ছড়িয়ে পড়ে। এসএল গ্রুপের মালিকানাধীন গুদামটি ইউনিটেক্স লিমিটেড ভাড়া নেয়। সেখানে তুলা মজুত করা হয়।
 
সীতাকুণ্ড মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তোফায়েল আহমেদ বলেন, তুলার গুদাম যেভাবে হওয়ার কথা সেভাবে করা হয়নি। টিনের চাল থেকে রোদের উত্তাপে তুলাতে আগুন ধরার সম্ভাবনা ছিলো। আর এই গুদাম নির্মাণে কোনো নিয়ম মানেনি মালিকপক্ষ। গ্যাস কাটার দিয়ে স্ক্র্যাপ লোহা কাটা হচ্ছিল। ওই গ্যাস থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। 
 
সীতাকুণ্ড ফায়ার সার্ভিসের জ্যেষ্ঠ স্টেশন কর্মকর্তা নুরুল আলম দুলাল জানান, আগুন লাগার খবর পেয়ে প্রথমে কুমিরা ও সীতাকুণ্ডের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ শুরু করে। বর্তমানে আগের চারটি ইউনিটের পাশাপাশি আগ্রাবাদ ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। শুরুতে পানিসংকটের কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণ আগতে বেগ পেতে হচ্ছিল। 
 
তিনি আরও জানান, স্থানীয়রা ঝালাইয়ের কাজ করার সময় তুলার গুদামে আগুন লেগেছে বলে জানিয়েছেন। তবে কীভাবে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তুলার গুদামের পাশাপাশি আগুনে চারটি চায়ের ও খাবার দোকান পুড়ে গেছে।

আপনার মূল্যবান মতামত দিন: