প্রবাসীর স্ত্রীর কাছে চাঁদা দাবি: না দেওয়ায় বসতবাড়ি ভাঙচুর

রাকিব হাসান, মাদারীপুর | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৮:২১

সংগৃহীত

মাদারীপুর সদর উপজেলায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে পরিপক্ষের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর এবং চাঁদা দাবি করে চলছে একদল সন্ত্রাসী মোহল।

আজ বুধবার বিকালে সদর উপজেলা রাস্তি ইউনিয়নে পশ্চিম রাস্তি এলাকায় এ হামলা,ভাঙচুর ও চাঁদা দাবি ঘটনা ঘটেছে।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় একটি মামলার প্রস্তুতি চলছে।

ভুক্তভোগীর পরিবার ও এলাকাবাসী জানান, সদর উপজেলার রাস্তি ইউনিয়নের পশ্চিম রাস্তি গ্রামের আখি আক্তারের (২৫)সাথে পাশের লক্ষীগঞ্জ এলাকার আল- আমিন হাওলাদারের(৩০) দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ চলে আসছিল। এর জের ধরে বুধবার বিকালে আল-আমিন হাওলাদারের নেতৃত্বে তার লোকজন মিলে আখি আক্তারের কাছে চাঁদা দাবি করেছে। চাঁদা দিতে রাজি না হওয়ায় তার বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর চালায় । এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় একটি মামলার প্রস্তুতি চলছে।

ভুক্তভোগী আখি আক্তার বলেন, আমার স্বামী বিদেশ থাকায়। আমি বাড়িতে একা থাকি। আর এই সুযোগে আল আমিন হাওলাদার ও তার দলবল মিলে আমার বাড়িতে প্রতিনিয়ত ও চাঁদা দাবি করে চলছে। আমি চাঁদা না দেওয়ার কারণে প্রতিনিয়ত আমার বাড়িতে হামলা চালায়। আমাকে খারাপ কাজের প্রস্তাব দিয়ে চলছে। ওদের কারণে আমার বাড়িতে থাকা এখন বড় কষ্ট হয়ে পড়েছে আমি প্রশাসনের কাছে ওদের বিচার দাবি করি।

ভুক্তভোগী আখি আক্তার এর বাবা দেলোয়ার মাতুব্বর বলেন,আলামিন তালুকদারের দলবদলেরা আমার মেয়েকে বিভিন্নভাবে হয়রানি করে এবং প্রতিনিয়ত তার কাছে চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দিলে তার ঘরবাড়ি ভাঙচুর করে।আমার মেয়ের জামাই বিদেশ থাকায় সে বাড়িতে একা থাকে। মেয়ে এখন একা থাকতে অনেক ভয় পাচ্ছে। সরকারের কাছে আমরা এদের সঠিক বিচার দাবি জানাই।

স্থানীয় রুবেল মাতুব্বর বলেন, যে আখি বেগমের কাছে সন্ত্রাসী আল- আমিনের লোকজনেরা চাদা চায়। চাদা না দিলেই তার বাড়িঘরের উপর হামলা ও ভাঙচুর করে আমরা স্হানীয়া বাধা দিলে গেলে উল্টো আমাদেরকে একা পেয়ে মারধর করে। একজন্য আমরা এখন নিরুপায়। প্রশাসনের কাছে আমাদের দাবি সন্ত্রাসী আল- আমিনের সঠিক বিচার করে।

আরেক ভুক্তভোগী মিলন মাতুব্বর বলেন, এরা আমাদেরকেও মাঝে মাঝে জ্বালায় ও কষ্ট দেয়। আমাদের জমি দখল করার জন্য হুমকি ধামকি দিয়ে চলছে।সরকারের কাছে দাবি আল-আমিন বাহিনীর হাত থেকে যেন মুক্তি পেতে পারি।

অভিযুক্ত আল-আমিন হাওলাদারের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করলেও কোন সারা মেলেনি।

মাদারীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোঃ মনোয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন, ভুক্তভোগী পরিবার থেকে অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনী ব্যবস্হা নিবো।


আপনার মূল্যবান মতামত দিন: